দারিদ্রের শেষ সীমা থেকে সফল ‘স্কুইড গেম’ নির্মাতা

  • মহিউদ্দিন আহমেদ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হং ডং হাইয়ুক

হং ডং হাইয়ুক

‘স্কুইড গেম’ জ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া দক্ষিণ কোরিয় এই ওয়েব সিরিজটি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে উন্মাদনা। আর সেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। নেটফ্লিক্সে এটি রিলিজ হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে সিরিজটি আয় করেছে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার।

প্রযোজক ধারণা করছেন এই সিরিজের দুই মাসের আয় রেকর্ড বাজেটের ‘মানি হাইস্ট’কে ছাড়িয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সিরিজের নির্মাতা ও কাহিনীকার হং ডং হাইয়ুক এর জীবনের শুরুটা মোটেও এমন ছিল না। আজ যে সিরিজ পুরো পৃথিবী মাতাচ্ছে সেটি হং ডং হাইয়ুক লিখেছিলেন আরও প্রায় ১০ বছর আগে। তারপর কত প্রযোজক প্রতিষ্ঠান আর স্টুডিওতে গিয়েছেন এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে তার কোন হিসেব নেই। কেউ এটিকে পাত্তা দেয়নি। অনেকে পড়ে দেখারও প্রয়োজন বোধ করেনি। বারংবার শুধু প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।

হং ডং হাইয়ুক যখন তার মা ও দাদীর সাথে থাকতেন তখনই ‘স্কুইড গেম’ সিরিজটির আইডিয়া তার মাথায় আসে। যথারীতি সেটি লেখাও শুরু করে দেন। কিন্তু ওই সময় তিনি এতটাই অর্থাভাবে পড়েন, যে ল্যাপটপে স্ক্রিপ্ট লিখছিলেন সেটিও মাত্র ৬৭৫ ডলারে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু সব নিরাশা ছাপিয়ে সফলতার মুখ দেখেন যখন নেটফ্লিক্স তার প্রজেক্টে অর্থ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

৫৫ থেকে ৬০ মিনিটে সাজানো মোট ৯টি পর্বে সাজানো হয়েছে এই সিরিজের প্রথম সিজন। সিরিজটিতে ৩১টি ভাষায় সাবটাইটেল যুক্ত করা হয়েছে এবং ১৩টি ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে। গেল ১৭ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘স্কুইড গেম’। এরপর ১০ দিনেই ৯০টি দেশে এক নাম্বার স্থানে উঠে আসে সিরিজটি।