মরণব্যাধি ক্যানসার ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আলী যাকের। একইদিন বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় কিংবদন্তি এই অভিনেতা-নির্দেশককে।
আজ (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। বিশেষ এই দিনে আলী যাকেরের শেষ অভিনয়ের সময় তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাবার শেষ অভিনয়ের সময় তোলা ছবিটি শেয়ার করে ইরেশ যাকের লিখেছেন- “বিজয় পেয়েছি বলেই নূরলদীনকে পেয়েছি। শেষ অভিনয়ের সময় তোলা ছবি। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা।”
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ইরেশ যাকের। গত ১৩ ডিসেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বর্তমানে সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন এই অভিনেতা।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছবি টানিয়ে জুতাপেটা করেছে একদল শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে স্টেডিয়াম এলাকায় সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন তারা।
সাকিবের বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থান মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না দেশের উপস্থাপিকা, মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবণ্য তৌহিদা।
গতকাল (১২ অক্টোবর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাকিবের ছবিতে জুতাপেটা করে অসম্মানের ঘটনায় ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশে এমন ধরণের মানুষদের দেখি, তখন খুবই দুঃখ পাই। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করতাম, আপনাদের কী এতটুকু বুদ্ধি আছে? সে (সাকিব) কি দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছুই করেনি?’
শ্রাবণ্যর সেই স্ট্যাটাসটি নেটিজেনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আট হাজার রিঅ্যাকশন আসে পোস্টটিতে। তবে এই তারকার জন্য দুঃখের বিষয় হলো, হাহা রিঅ্যাকশনই সেখানে বেশি। অর্থাৎ সাকিব আল হাসানের পাশে দাঁড়ানোয় শ্রাবণ্যকে হাসির পাত্রী হিসেবে দেখছে বেশিরভাগ নেটিজেন। অনেকে মন্তব্যও করেছেন সেই পোস্টে। যার মধ্যে কেউ কেউ সাকিবের পক্ষ নিলেও বেশিরভাগ মন্তব্যই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষে!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি তিনি খেলতে চাইছেন দেশের মাটিতে। তবে তার এমন আকুতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। প্রতিবাদ হিসেবে সাকিবের ছবি টানিয়ে জুতাপেটা করেছেন তারা।
জনপ্রিয় সেলিব্রেটি টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এ উপস্থিত হয়ে বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে স্বীকার করেছিলেন যে, তার বেস্ট ফ্রেন্ড সুহানা খানের বড় ভাই অর্থাৎ শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের ওপর ক্রাশ ছিল তার।
তবে সে কথা আরিয়ানকে জানিয়েছিলেন কি না, কিংবা তারা পরে প্রেম করেছেন কি না সে কথা অনন্যা এড়িয়ে গেছেন।
এবার আরিয়ান খানকে ঘিরে নিজের একটি গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অনন্যা। আর তা নিয়ে গণমাধ্যমগুলো তৈরি করছে বেশ চমকপ্রদ সব শিরোনাম।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অনন্যা পান্ডের ওয়েব থ্রিলার ‘সিটিআরএল’। অনেকেই বলছেন, এই সিরিজে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয়টা করেছেন অনন্যা। সেই সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে তিনি শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের একটি গোপন কথা ফাঁস করেন। জানান, আরিয়ান নাকি তার ভিডিও ফাঁস করে দেবার হুমকি দিতেন!
অনন্যা বলেন, ‘আমি প্রতিদিন কী করি, কী খাই সবটা রেকর্ড করতাম, কিন্তু কোথাও সেগুলো পোস্ট করিনি। আমার কাছে এখনও সেই ভিডিওগুলো রয়েছে। মূলত আমি, সুহানা এবং শানায়া একসঙ্গে যা যা করতাম সেইসব রেকর্ড করতাম। আর সেই ভিডিওগুলো নিয়ে আরিয়ান আমাদের হুমকি দিতেন। বলতেন, আমরা যদি ওর জন্য কাজ না করি তাহলে আরিয়ান আমাদের সেই ভিডিওগুলি ফাঁস করে দেবেন।’
সুহানার মা গৌরী খান, অনন্যার মা ভাবনা পান্ডে এবং অনন্যা ও শানায়া কাপুরের মা মহীপ কাপুর একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্বের রেশ তাদের পরবর্তী প্রজন্মেও বহমান। অনন্যা পান্ডের সঙ্গে তার ছোটবেলার বন্ধু সুহানা খান এবং শানায়া কাপুরের সুন্দর সম্পর্ক কারোরই অজানা নয়। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই তারা একসঙ্গে ছবি দিয়ে লেখেন বিএফএফ গোল। শৈশব থেকেই তাদের বন্ধুত্ব খুব দৃঢ়। একসঙ্গে বড় হয়েছেন তারা। তবে শুধুমাত্র সুহানা বা শানায়া নয়, তাদের পরিবারের সঙ্গেও অনন্যার খুব ভালো সম্পর্ক। অনন্যার সুন্দর সম্পর্ক শাহরুখ খানের সঙ্গেও।
হলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি মিলা কুনিস ও অ্যাস্টন কুচার। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ডিডি মামলা এড়াতে দুজন হলিউড ছেড়ে ইউরোপে বসতি স্থাপনের কথা ভাবছেন।
যৌন নির্যাতন ও নারী পাচারের অভিযোগে প্রভাবশালী মার্কিন র্যাপার ও সংগীত প্রযোজক শন ডিডিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী বছর তার শুনানি শুরু হবে। ডিডির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে অনেক হলিউড তারকার নামেই। ডিডির পার্টিতে উপস্থিত থাকতেন এই তারকারাও। তাদেরই দুজন মিলা কুনিস ও অ্যাস্টন কুচার।
মিলা কুনিস ও অ্যাস্টন কুচার ডিডির খুব কাছের বন্ধু। তারা ডিডির যেসব পার্টিতে যেতেন সেখানেই নারীদের অশালীন ভিডিও ও যৌন নির্যাতন করা হতো। একারণে এই দুই তারকার নাম জড়িয়েছে এই মামলায়।
ক্রমাগত স্পটলাইট এবং নেতিবাচক প্রচারে থাকার কারণে অ্যাস্টন কুচার ও মিলা কুনিস হলিউড থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইন টাচ উইকলিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দুই তারকার কাছের এক সূত্র বলেছেন, ‘অতীতের ঘটনায় কাঁদায় টেনে নেয়া হচ্ছে তাকে। প্রথমে ড্যানি মাস্টারসন আর এখন ডিডি। এতে তার উপলব্ধি হয়েছে যে হলিউডের চেয়ে বসবাসের জন্য আরও অনেক ভালো জায়গা রয়েছে। হলিউড এখন একটি গন্ধযুক্ত আবর্জনায় পরিণত হয়েছে।’
সূত্র আরও জানিয়েছেন, হলিউড ছেড়ে ইউরোপে যাওয়ার কথা ভাবছেন এই যুগল। সেখানেই সাদামাটা লাইফস্টাইলে সন্তানদের বড় করতে চান তারা। তবে কিছু ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কারণে হুট করে যেতেও পারছেন না তারা।
গত বছরের নভেম্বরে যৌনকর্মে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নারী পাচারের অভিযোগ ওঠে শনের বিরুদ্ধে। সে সময় তার বিরুদ্ধে ১০টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, শন নারীদের নৃশংস যৌন নির্যাতন করতেন।
অভিযোগে আরও লেখা হয়েছে তিনি মাদক গ্রহণে বাধ্য করিয়ে নারীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে বাধ্য করতেন। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই র্যাপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনিই। তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।
বাবা সিদ্দিকি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের খুব ঘনিষ্ঠ। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে বিগবসের শুটিং বাতিল করে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে যান সালমান খান। চোখমুখ থমথমে ছিল তার। সিদ্দিকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তেরও। এদিন হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনিও।
গিয়েছেন শিল্পা শেঠিও। পাপারাজ্জির প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় শিল্পা চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। গাড়ির মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পা। রাজ কুন্দ্রাকেও দেখা যায়, এই কঠিন সময়ে স্ত্রীকে সঙ্গ দিতে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুম্বাইয়ের খের নগরে নিজের ছেলের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকির উপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতীরা। লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাবা সিদ্দিকির উপর দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বাসিন্দা। তৃতীয় অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে শিগগির ধরে ফেলবে মুম্বাই পুলিশ।’ লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
বিনোদন জগতের মানুষদের সঙ্গে নিত্য উঠাবসা ছিল বাবা সিদ্দিকির। বিপুল সম্পত্তির মালিক বাবা সিদ্দিকি। একটা সময় নিজেও অভিনয়ের দুনিয়ার মানুষ ছিলেন। তবে রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছেন। সালমান থেকে শাহরুখ, ক্যাটরিনা থেকে প্রীতি জিন্টা-বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে হাজির থাকতেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা।