নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডি সরিয়ে নেয়া হবে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: ইসি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এনআইডি সরিয়ে নেয়া হলে, কমিশনকে সাংবিধানিক যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার সাংঘর্ষিক হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। 

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ইসি সচিবালয়ে কমিশনারদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এনআইডি ডাটাবেজ কমিশন করেছে। যে কারণে এনআইডি কার্যক্রম কোনোভাবেই অন্য দফতরে নেয়া যৌক্তিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। গণমাধ্যমে নিউজ দেখতে পাচ্ছি, একই সঙ্গে সব নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছেন। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা আসলে বাস্তব সম্মত প্রস্তাব। সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়; আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনও একসাথে করা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমরা পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট কেস হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা উচিত কি না? এই প্রসঙ্গে ইসি বলেন, কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এগুচ্ছে, এর প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে এটা ধারণ করে যদি কোন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করতে হয় তার একটা টাইম আছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ওয়েদার একটা ফ্যাক্টর। তারপরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই আলোকে কাজ করবো।

বিজ্ঞাপন

তবে সরকার যদি চাই আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন এক সঙ্গে করাবে সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন এক সঙ্গে করা ঠিক হবে না। সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক সঙ্গে করা সম্ভবও নয়। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়নি। আলোচনার আলোকে স্বপ্রণোদিতভাবে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি বলেও জানান তিনি। 

আগামী ২০ তারিখ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে বলেও জানান ইসি।

এর আগে কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সভায় অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।