৬০ উপজেলায় নির্বাচন বুধবার, নিরাপত্তায় ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাত পোহালেই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের শেষ ধাপ অর্থাৎ চতুর্থ ধাপের ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা করা হবে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে ১৬৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। একইসাথে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে বিজিবির সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

চতুর্থ ধাপের তফশিল অনুযায়ী, ৬০ উপজেলায় তফশিল ঘোষণা করেছে ইসি। এখানে তিন পদে ৭২১ প্রার্থীর বিপরীতে ভোটার রয়েছে দু'কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার।

বিজ্ঞাপন

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, চতুর্থ ধাপে তিন পদে ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সেই সাথে তিন পদে পাঁচজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে।

নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলে প্রায় দেড় লাখ মোতায়েন থাকবে বলে জানান ইসি। সেই সাথে ১৭ জেলায় অতিরিক্ত ২৯ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ১৪ টিম, ১৬ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে।

এদিকে আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষ ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। সব মিলিয়ে

৬০ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা সাত হাজার ৮২৫ টি। ভোট কক্ষ রয়েছে প্রায় ৬১ হাজার। এই ধাপের মোট ভোটার দু'কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। তার মধ্য পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬০ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি সাত লাখ ৪৫ হাজার ৫৫৮ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১২৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।