লক্ষ্মীপুর-১: প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ, নৌকার প্রার্থীকে তলব

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আনোয়ার হোসেন খান

আনোয়ার হোসেন খান

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের প্রকাশ্যে টাকা বিতরণের ঘটনায় তাকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলব করেছেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ পলাশ বর্ধন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আচরণ বিধিমালা অমান্য করে নির্বাচনী প্রচারণায় কতিপয় ব্যক্তিগণের মাঝে স্বয়ং নিজ হস্তে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। উক্ত নগদ অর্থ বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে মর্মে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। নগদ অর্থ বিতরণের ভিডিও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দাখিল করে। প্রার্থীর এসব কাজ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৩ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ ঘটনায় তার (আনোয়ার খান) বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে স্বশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাকে এ নির্দেশ প্রদান করা হল।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রামগঞ্জের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাঞ্চনপুর গ্রামে আনোয়ার হোসেন খান প্রকাশ্যে লোকজনের মাঝে টাকা বিতরণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায় তিনি যুবলীগ নেতা শেখ কাউসারের কাছে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। ভিডিওটি প্রথমে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শেখ কাউসারের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করা হয়। এরপর ভিডিও অন্যান্য ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে কাউসার ভিডিওটি ডিলিট করে দিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায় আনোয়ার খান পকেট থেকে টাকা বের করে গুণে দেন কাউছারের কাছে। এসময় তাকে বলতে শোনা যায় ৫ হাজার টাকা দিয়েছি, হবে?