চট্টগ্রামে ডগ স্কোয়াড কে-নাইনের বিশেষ মহড়া

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত এবং মাদকদ্রব্য শনাক্তে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) যুক্ত হওয়া ডগ স্কোয়াডকে-নাইন ইউনিটের বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে বিশেষ তল্লাশি অভিযানের মাধ্যমে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। তবে স্কোয়াডের ৯টি প্রশিক্ষিত কুকুরের মধ্যে ৬টিকে আনা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ এস এম মাহাতাব উদ্দিন ও অতিরিক্ত কমিশনার (ট্র্যাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা ও কোতোয়ালি জোনের এ সি অতনু চক্রবর্ত্তী উপস্থিত ছিলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে পুরো চট্টগ্রামে বিশেষ একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় সিএমপিতে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ডগ স্কোয়াড কে-নাইন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আধুনিক, নিত্য নতুন ও বিশেষ কৌশলে সংঘটিত অপরাধ মোকাবেলার জন্য কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো, অপারেশনাল কাজে ব্যবহার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য চিহ্নিতকরণ ও বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তকরণসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নয় সদস্যের এই ডগ স্কোয়াডটি গঠন করা হয়েছে। সিএমপিতে ডগ স্কোয়াড সংযোজনের মাধ্যমে সিএমপির অপরাধ দমন সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ব্যবস্থায় সম্পন্ন হবে।

এদিকে সিএমপি থেকে বলা হয়েছে, নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ডগ স্কোয়াডের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০টি ক্যানেল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে রয়েছে ডগের পরিচর্যা কেন্দ্র, গ্রুমিং স্পেস, রান্না ঘর, শাওয়ারের ব্যবস্থা, নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কাঠামো। ভবনে সার্বক্ষণিক সিসি টিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে। কে- নাইন ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। তারা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।

এই ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কুকুরগুলো বাংলাদেশে আনা হয় গত বছর। অবকাঠামো না থাকায় এতদিন সেগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াডের’ সঙ্গে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই নয়টি কুকুর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিক মহড়ার মধ্য দিয়ে এই ডগ স্কোয়াডর উদ্বোধন করা হয়।

অন্যদিকে ২০১৮ সালে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন হওয়ার পর থেকে সোয়াট, বিডিইউ, সাইবার টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম নগরের জঙ্গি, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ, সাইবার ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।