সিলেটে হাবিব-দুলাল-আতিকের আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • মশাহিদ আলী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধির ধার ধারছেন না প্রার্থীরা। আচরণবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে করছেন প্রচার-প্রচারণা। বলা যায় প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘণের হিড়িক পড়েছে। কোন প্রার্থীর পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে ভোট চাইছেন আর কোনো প্রার্থী লেমিনেটিং পোস্টার সাঁটানো হয়েছে কোনো কোনো জায়গায়।

সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে সিলেট-৩ আসনে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ এবং নৌকা মার্কার প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী যেনো নির্বাচনী আচরণবিধি মানতেই নারাজ।তাদের কর্মী সমর্থকদের ব্যানার ফেস্টুনেই অনেকটাই সেটাই জানান দিচ্ছে। তাদের এমন আচরণবিধি লঙ্ঘন নির্বাচন কমিশন দেখেও যেনো না দেখার ভান করছেন বলে দাবি সাধারণ ভোটারদের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সিলেট-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত ও নৌকা মার্কার প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পক্ষে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার দ্বি-পাক্ষিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ব্যানার টাঙিয়েছেন যুক্তরাজ্য যুবলীগের ছালেহ আহমদ নামে সমর্থক। উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সিলেট মহানগর যুবলীগের আফজল হোসেন, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের অপু সরকার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের রোহান আহমদ, সিলাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের ফেস্টুন দেখা যায়। এছাড়া চন্ডিপুলস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনেও ফেস্টুন দেখা গেছে।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান শুরু থেকেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। গত ২১ ডিসেম্বর তার বাড়িতে ২১টি গরু জবাই করে ভূরিভোজের আয়োজন করেন তিনি। এছাড়া তিনি নিজের বাড়িতেই রঙিন ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন মতবিনিময় সভা করে আসছেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে তার বাড়িতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন তিনি। সেখানেও রঙিন ব্যানার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর বালাগঞ্জের মোরারবাজারে বিভিন্নস্থানে তার সমর্থকদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়া প্রত্যেক প্রার্থী লেমিনেটিং পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।

তবে, নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রার্থীদের বার বার সতর্ক করা হচ্ছে এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উর্মি রায় বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন এবং কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত; সিলেট-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭জন তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.ফখরুল ইসলাম।