বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদের

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা

ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা

প্রাণঘাতী করোনায়ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতিকে পুনর্জীবিত করতে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পকে আরও সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদরা।

রোববার (৭ জুন) দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব পরামর্শ দেওয়া হয়। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও এমপি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় দেশের অর্থনীতির জন্য ব্যাংক নির্ভর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডির) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো তৈরি এবং দক্ষশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।’

পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় প্রথমে আমাদেরকে স্বাস্থ্য খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এই অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রণোদনা দিতে হবে। আগামী বাজেটে ৭-৮ শতাংশ ঘাটতি থাকবে পারে। তবে বাজেটে নতুন করে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।’

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট দেওয়ার এখন সময় হয়েছে। তাহলে বিদেশেও রফতানি করা যাবে। বাংলাদেশটাকে পুরো ইপিজেডের মত করে দেবে। দেশটাই পাল্টে যাবে।’

সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এফবিসিসিআইকে দেশীয় দক্ষশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ দক্ষজনশক্তী না থাকায় দেশ থেকে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন অর্থ চলে যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৫৫ শতাংশ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তারা ভিয়েতনামে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করছে। এই বিনিয়োগটা যাতে বাংলাদেশের আনা যায় সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগের জন্য করপোরেট ট্যাক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’