চিড়া-মুড়ি উৎপাদন করছে ময়মনসিংহ ও নওগাঁর বিসিক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়া-মুড়ি উৎপাদন করছে ময়মনসিংহ ও নওগাঁর বিসিক

চিড়া-মুড়ি উৎপাদন করছে ময়মনসিংহ ও নওগাঁর বিসিক

রমজান মাস সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ময়মনসিংহ ও নওগাঁ শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ চিড়া-মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করছে।

রমজান মাসে ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ-নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর মোট ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক ৯০ মেট্রিক টনের অধিক চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এই দুই বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চিড়া-মুড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে সরবারহ করা হয়।

ময়মনসিংহের বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, এ শিল্পনগরীতে মোট ৭২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে পবিত্র রমজানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৭টি শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৬ মেট্রিক টন মুড়ি ও চিড়া উৎপাদিত হচ্ছে।

চিড়া-মুড়ি ছাড়া ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, কেক, রুটি, সরিষার তেল, মশার কয়েল, বালাইনাশক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মনজুরুল ইসলাম।

অন্যদিকে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে ৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে ২৯টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার মেট্রিক টন চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে। এছাড়াও এ শিল্পনগরীতে চাল, ডাল, সরিষার তৈল, খৈল, পশুর ওষুধ ও খাদ্য, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, ডাল ও ভুসি, টিউবওয়েলহেডসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের বিষয়টি বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি কারখানা চালু রাখতে মালিকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে মোট এক হাজার ৭শ দুই জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান ।