লে-অফ গার্মেন্টসে ৫ হাজার কোটি টাকা নয়
লে-অফ ঘোষিত কারখানায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে অর্থ পাবে না তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পের মালিকরা।
রোববার (১৯ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় এমন নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে এক চিঠি দিয়েছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ফান্ড গঠন করেছে। এই ফান্ড থেকে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে মাত্র দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জে ঋণ পাচ্ছে তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে সচল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে অর্থ বিভাগের মতামত হচ্ছে- যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান ৮০ শতাংশের অধিক সরাসরি পণ্য রফতানি করে থাকে তাদের এলসি পরীক্ষা সাপেক্ষে কেবলমাত্র শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল হতে ঋণ প্রদান করা যাবে। তবে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি লে-অফ ঘোষণা করে তাহলে ওইসব প্রতিষ্ঠান এই তহবিল থেকে ঋণ পাবে না।
৮০ শতাংশের কম বিবেচিত রফতানিকারকরা ২০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে পারবে। যা দিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের শ্রম আইনের ভাষায়, লে-অফ হলো কোনো কারখানায় কাঁচামালের স্বল্পতা, মাল জমে যাওয়া কিংবা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় শ্রমিককে কাজ দিতে না পারার অক্ষমতা প্রকাশ করা।
আইন অনুযায়ী, লে-অফ চলাকালে প্রথম ৪৫ দিনের ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক দিতে হয় মালিককে। পরের ১৫ দিনের জন্য শ্রমিক পাবে পাবে ২৫ শতাংশ মূল বেতন এবং বাড়ি ভাড়া।