সবই আগের মতো, শুধু অ্যাপোলো নামটি নেই

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাপোলো হাসপাতালের নাম বদলে এখন এভারকেয়ার/ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপোলো হাসপাতালের নাম বদলে এখন এভারকেয়ার/ছবি: সংগৃহীত

সাইনবোর্ড বদলে অ্যাপোলো এখন এভারকেয়ার হাসপাতাল নামে সেবা অব্যাহত রেখেছে। এতদিন অ্যাপোলোর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে পরিচালিত হতো বাংলাদেশের একমাত্র জেসিআই সনদপ্রাপ্ত এই হাসপাতালটি।

ফ্র্যাঞ্চাইজির ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ এপ্রিল থেকে নতুন নামে চলছে এ হাসপাতাল। মালিকানা ও সাইনবোর্ডের পাশাপাশি শুধু স্টাফদের পরিচয়পত্র বদলে যাচ্ছে, আর সবকিছুই থাকছে অবিকল। তবে সেবার মান আগের থেকেও বাড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

অ্যাপোলো পুরোপুরি দেশীয় শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানায় পরিচালিত হলেও এভারকেয়ারের ৬০ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টিপিজি ও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিডিসির মালিকানায় চলে গেছে।

এসটিএস গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি বিআর সিকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে ৫ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৩ ব্যক্তি মালিকের শেয়ার রয়েছে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার। ব্যক্তি মালিকের মধ্যে রয়েছেন শান্তু গ্রুপের কর্ণধার খন্দকার মনিরুদ্দিন, লংকাবাংলার চেয়ারম্যান মোঃ এ মঈন ও বিসিবির পরিচালক মাহবুবুল আনাম। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার হচ্ছেন এসটিএস ক্যাপিটাল লিমিটেড, শেফাল হোল্ডিংস, শান্তা হোল্ডিংস, ডায়মন্ড ইনভেস্ট লি. ও রেমন্ড ইনভেস্ট লিমিটেড।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, টিপিজি ও সিডিসি ৬০ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে। পুরাতন শেয়ারের পাশাপাশি নতুন ১’শ কোটি টাকার শেয়ার অফলোড করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে টিপিজি-সিডিসি।

টিপিজি-সিডিসির এই অঞ্চলের বাণিজ্য পরিচালনা করে থাকে এভারকেয়ার। দুবাই ভিত্তিক এভারকেয়ারের সঙ্গে তাদের বিশেষ কোনো চুক্তি থেকে থাকতে পারে বলে জানান বিআর সিকদার।

এভারকেয়ার এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা বিশ্বমানের সব সুবিধা ও আয়োজনের মাধ্যমে শীর্ষমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকিউরমেন্টকে দক্ষ থেকে দক্ষতর করা এবং অপারেশন আরো উন্নত করা হবে। পাশাপাশি কার্ডিয়াক সার্ভিসেস, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন এবং অনকোলজির মতো সুপার স্পেশালটি ডিপার্টমেন্টস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল সামর্থ্য আরো বাড়াতে বদ্ধপরিকর।

দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এভারকেয়ারের অধীনে রয়েছে ২৮টি হাসপাতালের এক বিশাল গ্লোবাল চেইন। এভারকেয়ার হলো একটি সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্লাটফর্ম। আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে অপারেট করে আসছে। বিশ্বজুড়ে ২৮টি হাসপাতালের পাশাপাশি ১৮টি ক্লিনিক, ৫৪টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতাল রয়েছে।

২০০৫ সালে ভারতীয় চেইন হাসপাতাল অ্যাপোলোর সহযোগিতায় ৪২৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জেসিআই সনদ পায়। এরপর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে হাসপাতালটি। এখন ২৯ ধরনের বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। চট্টগ্রামেও ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল গড়ে তুলছে এসটিএস।