৬ মাস পর রাজস্ব আদায় বাড়ল ডিএসইর

  • মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা ৬ মাস সরকারের রাজস্ব কমার পর ফেব্রয়ারি মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ভাষার মাসে সরকার জানুয়ারি মাসের তুলনায় প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা রাজস্ব বেশি পেয়েছে। জানুয়ারির তুলনায় লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার এ খাত থেকে কর বেশি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইর তথ্য মতে, ফেব্রয়ারিতে ডিএসইতে মোট ২০ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের ৪৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৬টি শেয়ারের কেনা-বেচা বাবদ ১২ হাজার ৪২৭কোটি ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানুয়ারিতে লেনেদেন হয়েছিলো ৮ হাজার ৭২ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬১২ টাকা। সে মাসে ২৯০কোটি২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯ টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছিলো।

বিজ্ঞাপন

ফেব্রুয়ারিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ায় উদ্যোক্তা-পরিচালকে শেয়ার বিক্রি এবং সাধারণ বিনিয়োগকারী অর্থাৎ দুই প্রকার বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি বাবদ ডিএসইর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ ১৭ হাজার ২৩২ টাকা।

এর আগের মাস জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিলো ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭২ টাকা। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রয়ারিতে সরকার ডিএসইতে থেকে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৬০ টাকার রাজস্ব বেশি পেয়েছে।

দুই প্রকার রাজস্ব আদায়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন অথাৎ টার্নওভার ট্যাক্স বাবদ লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯৬ টাকা। আর উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৬ টাকা।

এর আগের মাস জানুয়ারিতে টার্নওভার ট্যাক্স বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮ কোটি ৬ লাখ৯০ হাজার ৮৬৭টাকা। আর উদ্যেক্তাদের শেয়ার বিকি বাবদ আয় হয়েছে ৩কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫ টাকা।

এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে উদ্যোক্ত-পরিচালক এবং বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা বেচা বাবদ ১৯ কোটি ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৫ টাকার রাজস্ব আদায় করেছিলো ডিএসইর। কিন্তু তারপর আগস্টে অর্ধেকের বেশি রাজস্ব কমে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার টাকায়। এরপরের মাস সেপ্টেম্বর ১৫ কোটি টাকার বেশি আদায় হয় কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসকে ছুঁতে পারেনি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত দরপতন থেকে উত্তোরণে প্রধানমন্ত্রী ছয় ধরনের নির্দেশ না দিয়েছেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে আস্থা তারল্য সংকট দূর করেত ১২ বাজার হাজার কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতে গত জানুয়ারি মাস থেকে লেনদেন বাড়তে থাকে। তার প্রভাবে লেনদেন খরা পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই ৩০০ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন থেকে বেড়ে ১ হাজার কোটি টাকাও দৈনিক লেনদেন হয়েছে। আর তাতে ছয় মাস পর ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে।