সিলেট বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রস্তাবসহ তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের ব্রিফ

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের ব্রিফ

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রস্তাবসহ ২ হাজার ৩৬৪ কোটি ১৪ লাখ ১৫৫০ টাকা ব্যয়ে তিনটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এরমধ্যে শুধু সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজেই ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

বুধবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি জানান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) প্রকল্পের পূর্তকাজসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছিল। এর মধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠান রেসপনসিভ হয়। কারিগরিভাবে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপ লিমেটেড (বিইউসিজে) কে দুই হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকায় ঠিকাদার নিয়োগে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে এ সম্প্রসারণ কাজে বিলম্বিত হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে করে এ কাজ শুরু করতেও কমপক্ষে ৬ মাস লেগে যাবে তাই বিলম্ব হওয়ার সম্ভবনা নেই।

জানা গেছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের ৩য় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিগত ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করেন। গত দুই দশকে এ বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাড়ছে। ওসমানী বিমানবন্দরকে আধুনিক সুপরিসর বিমান তথা বোয়িং ৭৭৭ ধরনের বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত অপর একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে প্যাকেজ-০৩ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।  ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারি ভান্ডারে গমের মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্যাকেজ-৩ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত গ্রহণযোগ্য সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স, অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এ গম সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন গম ২৬৫ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১১২ কোটি ৭২ লাখ ১ হাজার ৫৫০ টাকা।

এছাড়া বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের ১৬ তলা ভবন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক  কাজ সম্পাদনের জন্য দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। এরপর টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত গ্রহণযোগ্য সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের  কাছ থেকে ১৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকায় ক্রয় প্রস্তাব সিসিজিপি’র অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে তাতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।