দরপতনের বৃত্তেই আটকা পুঁজিবাজার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কোনো উদ্যোগেই পুঁজিবাজার গতিশীল হচ্ছে না। এ কারণেই একদিন সূচক বাড়লেই দুদিন সূচক কমছে। আর তাতে কমছে, সূচক লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে বিনিয়োগকারীরাও হারাচ্ছেন তাদের পুঁজি।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমছে। এটা পুঁজিবাজারের জন্য নতুন সুখবর। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ডিসেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তাতে দেখা গেছে বেশির ভাগ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) পুঁজিবাজারের স্বার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তারপরও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরছে না। বরং কোনো শেয়ার একটু বাড়লেই বিক্রির অর্ডারের হিড়িক পড়ছে। কোনো ক্রমে শেয়ারের দাম বাড়লে লোকসান কমাতেই বিক্রি করে দিচ্ছে।

তবে নতুন করে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে বিএসইসি ও ডিএসইর অন্ত-কোন্দলে। কোন্দল এতদিন পরোক্ষ থাকলেও এখন প্রত্যক্ষভাবে রুপ নিয়েছে। বিএসইসি এখন পুঁজিবাজারের দরপতনের পেছনে ডিএসইকে অভিযুক্ত করছে। এ কারণে ডিএসইকে শোকজও করেছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারিতে কারণ দশানোর নির্দেশনা দিয়েছে।

ডিএসইর এক সদস্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, পচা কোম্পানিগুলো আইপিওর অনুমোদন দিয়ে পুঁজিবাজার টাকা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করায় কমিশন ডিএসইকে দোষারোপ করেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দুদিন সূচক বেড়েছে। সর্বশেষ দুদিন সূচক কমেছে। এর আগের দিনও দরপতন হয়েছিলো। অর্থাৎ কোনো ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার।

মঙ্গলবারে মতই বুধবারও ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে। এইদিন সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির শেয়ারের দাম।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৩ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৩৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির কোম্পানির শেয়ারের। এদিন লেনদেন হয়েছে ১৪কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।