আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় ১১ প্রতিষ্ঠানকে আইএসও সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে সনদ হস্তান্তর করেন বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ওপর আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে—মেসার্স সারাহ রিসোর্ট লিমিটেড, মেসার্স কোয়ালিটি ক্যালিব্রেশন সল্যুশন প্রাইভেট, বিদ্যুৎ বাংলাদেশ প্রাইভেট, এপেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইজ্ঞিনিয়ারিং সল্যুশন, বিডি ফুডস, ইমামী বাংলাদেশ এবং ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এছাড়া ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ওপর মেসার্স দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এবং বেবি নিউট্রিশন লিমিটেডকে আইএসও ২২০০০:২০০৫ সনদ দেওযা হয়।
উন্নত কর্মপরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই থেকে আপনাদের আইএসও সনদ গ্রহণ প্রমাণ করে পণ্যমান এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছি। দেশে যত বেশি ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে দেশ তত বেশি উন্নত হবে। এভাবে সামগ্রিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে যাওয়ার ভিশন পূর্ণ হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিডি ফুডসের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রহমত উল্লাহ, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ডিজিএম মোহাম্মদ মারুফ হোসাইন, বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এক বছর আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি নানা কারণে চাপে রয়েছে। এর মধ্যে সরকারের চলমান পরিবর্তনের কারণে ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে।(জিডিপি)। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে।
উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ ও শিল্পে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিস্থ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না।
সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।
আর্থিক খাত নিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সংকট রয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি।
সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদেও হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বভাস দিয়েছিল।
চলমান অর্থবছরের বাজেটে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, খবরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে শুনে আমরা বাজার পর্যবেক্ষণে আসছি। দাম বাড়াতে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা চেষ্টা করতেছি মানুষের, ভোক্তাদের কষ্ট লাগব করার জন্য।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যারা ব্যবসা করবেন, তারাও যে লস করবেন সেটাও না। তবে কেনার দামের সাথে বিরাট পার্থক্য করে বিক্রি করবেন তা যেন না হয়। মুনাফা করেন, কিন্তু বেশি করবেন না।
এখন পণ্যের সরবরাহ একটু কম জানিয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, বন্যা হয়েছে। যেসব জায়গায় আগে বৃষ্টি, বন্যা হতো না, সেসব জায়গায় এবার হয়েছে। এতে ফসল নষ্ট হয়েছে।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেন সরকার দাম কমানোর ব্যাপারে চেষ্টা করতেছে না, এজন্য জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু আমরা তো চেষ্টা করতেছি। বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা করছেন। তারা যাতে বেশি মনুফা না করে অল্প লাভে পণ্য বিক্রি করেন তার জন্য বলেছি।
ডিমের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের দৈনিক ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আগে চার থেকে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদন হতো। কিন্তু এখন হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি। আর এটা চাইলেই কারখানায় বানানো যায় না। আমার সাড়ে চার কোটি পাঁচ কোটি ডিম ভারত থেকে আমদানি করতেছি। এটা তো একত্রে আসবে না। আস্তে আস্তে আসবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এর আগে চিনি, পেঁয়াজে, আলু আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছি। আমরা এখন আশা করি চিনিতে ১২-১৩ টাকা কমবে। বাকি পণ্যের দামও আস্তে আস্তে কমবে।
দেশব্যাপী ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সারাদেশে শুরু হয়েছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ২১। এই সিজনে প্রোমোশনাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম।
গত বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।
ওয়ালটনের এএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, দেশব্যাপী ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ২০টি সিজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে মিলেছে ব্যাপক সাড়া। এরই প্রেক্ষিতে শুরু করা সিজন-২১। এই সিজনে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিদ্যা সিনহা মীম। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সঙ্গে তার সংযুক্তি এই কার্যক্রমকে ভিন্ন মাত্রা দিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বিদ্যা সিনহা মীম বলেন, ওয়ালটন শুধু একটি ব্র্র্যান্ড নয়, বাংলাদেশের একটি গর্বও। পণ্য ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি নানারকম সামাজিক কর্মসূচিও পরিচালনা করছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম দেশব্যাপী অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বহুমানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। সচ্ছল হয়েছে অনেক অসহায় পরিবার।
তিনি বলেন, ওয়ালটনের মতো একটি গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। আশা করি- ওয়ালটনের সঙ্গে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে চমৎকার কিছু হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার গালীব বিন মোহাম্মদ।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই চট্টগ্রাম বাণিজ্যের নগরী হিসাবে বেশ পরিচিত। আর ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় চট্টগ্রামে একের পর এক ভিনদেশি বণিকের আগমন ঘটেছিল। বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ইলিয়াস শাহের আমলে চট্টগ্রাম বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় বলে ধারণা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পর্তুগিজ, আরকানী, মোগল ও সর্বশেষ ব্রিটিশদের রক্তশোষা ২০০ বছরের শাসন দিয়ে শেষ হয় ভারতীয় উপমহাদেশ তথা চট্টগ্রামের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস। যে ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বীরকন্যা প্রীতিলতা, মাস্টার দা সূর্যসেন ও ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগের গল্পও।
প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রামে ব্যবসার অনুকূল পরিবশে থাকায় অনেকগুলো ব্যবসা-বাণিজ্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে যা আজও চলমান। বর্তমানে প্রায় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে মিরসরাই ইকোনোমিক জোন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে গড়ে উঠছে অনেকগুলো শিল্প কারখানা। আনোয়ারা কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন, চায়না ইকোনোমিক জোন। তাছাড়া পুরো চট্টগ্রামে ছোট-বড় অনেকগুলো পোশাক কারখানা গড়ে উঠে। এসব কারখানায় সবচেয়ে বেশি যে সেবাটি দরকার তা হল বিদ্যুৎ ও গ্যাস। একটা সময় এই বিদ্যুৎ-গ্যাস নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা করতে হতো ব্যবসায়ীদের। তবে আশার আলো হয়ে এসেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারায় স্থাপিত এস. আলম বিদ্যুৎকেন্দ্র (এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট)। পুরোদমে চালুর পর এই কেন্দ্র চট্টগ্রামের সিংহভাগ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে করে আসছে। বলতে গেলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমেই চট্টগ্রামের লোডশেডিং প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমেই এখন চট্টগ্রামের শিল্পকারখানা ও জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠানগুলো নিরবিচ্ছন্নভাবে তাদের উৎপাদন ও সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছে। এতে একদিকে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান যেমন সুরক্ষিত থাকছে আবার অন্যদিকে রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনও বেগবান হচ্ছে।
এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে দুটি ইকোনোমিক জোন। যেখানে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বর্তমান ও নতুন করে গড়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোর নিরবিচ্ছন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হলে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রও পুরোদমে সবসময় চালু রাখার বিকল্প নেই।
বিভিন্ন কারখানার মালিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এমনিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম অনেকটা স্থবির ছিল। আবার গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন করে সংকট সৃষ্টি হলে ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তাই ব্যবসায়ীদের দাবি এসএস পাওয়ার বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটা যেন পরিপূর্ণভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা হয়। কেননা এটা চালু থাকলে উৎপাদন কার্যক্রম ও রপ্তানিমূখী শিল্পের উৎপাদন ও রপ্তানির ধারা বজায় রাখা যাবে।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষও শিল্প বাঁচাতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র সবসময় পুরোদমে চালু রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারও আমাদের এই বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে।
বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে বাঁশখালীর (চট্টগ্রাম) গন্ডামারা এলাকায় বৃহৎ ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। এর মালিকানায় রয়েছে দেশীয় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ, চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচ টিজি। দেশীয় কোম্পানি এস আলমের অংশীদারিত্বের পরিমাণ ৭০ শতাংশ, আর চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচ টিজির হাতে রয়েছে ৩০ শতাংশ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার আগে থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে শুরু করে। প্রকল্পটি থেকে ট্যাক্স, ভ্যাট ও অন্যান্য ফি বাবদ সরকারি কোষাগারে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা দেওয়া হয়। আর দেশের ভেতর থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা কেনা হয়। শুধু তাই নয়, করোনার মতো মহাসংকটের সময় যখন কর্মসংস্থান সংকট তৈরি হচ্ছিল, সেই সময়সহ টানা ৪ বছর ধরে ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। কেন্দ্রটিতে ১২’শ লোকের কর্মসংস্থান হবে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় কেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকে দেশের বিদ্যুৎখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।