মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ শনিবারে (২৫ জানুয়ারি) দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকায় মেলায় ভিড় বেড়েছে।
ছুটির দিন হওয়ায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল থেকেই ছোট-বড়, তরুণ-তরুণী, পুরুষ-মহিলা এবং বয়স্ক সবধরনের দর্শনার্থীদের ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।
ছুটির দিনে এমন ভিড়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। ভিড়ের কারণে তাদের বেচাবিক্রি বেড়েছে। অনেক দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাড়তি এই ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রয়কর্মীরা।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্যের প্রতি। প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি প্রেশার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যানসহ নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক গৃহস্থালির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাবা মার সঙ্গে মিরপুর থেকে মেলায় আসা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহার মুশফিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অনেক। ফলে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। তবে মেলায় এসে ভালো লাগছে।’
নাবিস্কু বিস্কুটের কর্মকর্তা এনামুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজকে লোকজন বেশি, বিক্রিও বেশি হয়েছে।’
মেলায় আরএফএল প্লাস্টিকস ৩৮ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ ইমতিয়াজ বলেন, ‘গৃহস্থালির প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পণ্য আমাদের রয়েছে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকায় পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করে আরএফএল আকর্ষণীয় ডিজাইনে স্বল্পমূল্যে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করছে। আমাদের পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ একটু বেশি। মেলা উপলক্ষে ১৬-৫০শতাংশ বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে।
বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি জানান, মেলার শুরু থেকেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। আজকে ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের চাপ বেশি। প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় অনেক।
মেলায় নজরকাড়া, মনমাতানো আর বাহারি রঙের ইটালিয়ানো পণ্যে নিয়ে এসেছে আরএফএল। প্যাভিলিয়নটিতে প্লেট, গ্লাস, মগ, স্যুপের বাটি, সান টুথ ব্রাশ, চামচ, বোল (বাটি), কাপ পিরিচ ও ট্রে পাওয়া যাচ্ছে।
এসব পণ্যের আকার ভেদে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্টলের ইনচার্জ ইফতেকা নুর আলম বলেন, দিন যাচ্ছে মেলার দর্শনার্থী বাড়ছে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে।
বাণিজ্য মেলায় শতরঞ্জির প্রধান বিক্রয়কর্মী মো. আব্দুল জলিল জানান, ঐতিহ্যবাহী দেশীয় এ হস্তশিল্প বলে শতরঞ্জির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। কিন্তু আজকে বিকাল থেকে অনেক ক্রেতা।