সবজি অপরিবর্তিত, বেড়েছে গরুর মাংসের দাম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় অপরিবর্তনীয় রয়েছে সবজির দাম। মুরগি, মাছ এবং খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট এবং শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় মাছ, শাকসবজি, ডিম, মুরগি এবং খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

বিজ্ঞাপন

শুক্রাবাদ এবং ফার্মগেট কাঁচাবাজারে শাক সবজি, মুরগি , মাছ, ডিম এবং খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। যা গতকাল ছিল ৫৫০ টাকা কিন্তু আজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ টাকায়।

মাংস কিনতে এসে ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত কদিন ধরেই ৫৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস কিনেছি। কিন্তু আজ হঠাৎ করেই ৬০০ টাকা দাম চাচ্ছে।

মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে

গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিছুই করার নাই। প্রতিদিন যেমন দামে গরু কিনে আনি সেভাবেই বিক্রি করি। আগে কম দামে গরু কিনতে পেরেছি ৫৫০ টাকায় মাংস বিক্রি করেছি। কিন্তু আজকে দাম বেড়েছে তাই ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

মাংসের বাজারের মধ্যে, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম প্রকারভেদে স্থিতিশীল রয়েছে

মাছের দাম প্রকারভেদে স্থিতিশীল রয়েছে। চিংড়ি জাত ভেদে প্রতিকেজি ৬০০-৯০০ টাকা, রুই ৫০০-৮০০ টাকা, কাতলা মাঝারি সাইজ ৫০০-৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০-২৫০ টাকা, কাচকি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারে দেখা যায়, শিম বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, আলু ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, লালশাক-পুঁইশাক (আটি)১০-১৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা এবং শসা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাকসবজির দাম আজকে বাড়েনি কমেওনি

শুক্রাবাদ কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, শাকসবজির দাম আজকে বাড়েনি কমেওনি আগের মতই আছে। কাঁচামালের আমদানি এখন ভালো তাই দামও কম।