‘জিরো টলারেন্স ফাঁকা বুলি, জনপ্রিয় হওয়ার স্লোগান’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাস্টমস দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান/ছবি: বার্তা২৪.কম

কাস্টমস দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান/ছবি: বার্তা২৪.কম

জিরো টলারেন্স একটা ফাঁকা বুলি, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। যে বলে সে নিজেই তা করে না কিংবা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেন, অনেক সময় জিরো টলারেন্সের কথা বলে নিজেই একটা অপকর্ম করে বসে। জিরো টলারেন্স জনপ্রিয় হওয়ার জন্য একটি স্লোগান।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানী সেগুনবাগিচার এনবিআর কার্যালয়ে কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমি চাইবো আমার সেক্টরে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও সততা আনার জন্য যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার, ততটুকু কঠোর হব। আমাদের সবার উচিত দেশের উন্নয়নে কাজ করা।

এ সময় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে সকলের সহযোগিতা চান এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সরকার যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও অতি লোভী হওয়ার কোনো মানে নেই। তারপরও আমি চেষ্টা করব এই অতি লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।'

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ীদের একটা কমন অভিযোগ হলো কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়া লাগলেই তখন সেটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নয়। ভ্যাট-ট্যাক্স না দিতে হলেই সেটা ব্যবসা বান্ধব। আমরা চেষ্টা করবো ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে। এই পরিবেশ তৈরি করতে কোনো ধরনের পলিসি অনুসরণ করা দরকার সেটা নিয়ে কাজ করতে। আমরা সবাই নিজের জন্য চাই কিন্তু দেশের সরকারের জন্য কিছু করতে চাই না। আমাদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার লক্ষ্য থাকবে করের আওতা বাড়ানো। করে নেট বৃদ্ধি করতে পারল ব্যক্তিশ্রেণির ওপরে চাপটা কমে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি কাস্টমস দিবস পালিত হবে। বাংলাদেশসহ ওয়াল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের ১৮৩ দেশে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

গত ১ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।