১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা পাচার, ২ হোতা গ্রেফতার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারকৃত দু’জন, ছবি: বার্তা২৪.কম

গ্রেফতারকৃত দু’জন, ছবি: বার্তা২৪.কম

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা পাচার ও শুল্ক ফাঁকির অন্যতম হোতা দিদারুল আলম ও কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি টিম।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম। এ সময় এনবিআর ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

তিনি বলেন, এ চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকার পণ্য আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত ১৫টি মামলা রয়েছে।

মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি দিদারুল আলম টিটু ও তার সহযোগী কবির হোসেন এবং আব্দুল মোতালেব ও অন্যান্য সহযোগী মেসার্স এগ্রো বিডি এন্ডি জেপি, হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং হেত্ৰা ব্ৰাকা নামের তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিপুল মদ, সিগারেট ও ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানি করেন। এভাবে তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মোট আসামি ১১ জন। এর মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানার মামলা করা হয়। একই দিনে ৪৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং ১২ নভেম্বর ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে হেব্রা ব্রাঙ্কো নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়।

গত ৩০ আগস্ট কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আট কোটি ৩৬ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমহাউজের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, মামলার পরও গ্রেফতারে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। কারণ এর মাস্টার মাইন্ডকে খুঁজে বের করতে হয়েছে। কারা এর পেছনে আছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হয়েছে। আর কোথায় গ্রেফতার করলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পাব, সে বিষয়ও আমরা লক্ষ্য রেখেছি।