‘অসাধু ব্যবসায়ীরা জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করতে চায়’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মশালায় শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

কর্মশালায় শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যসায়ীরা (পেঁয়াজ, চাল এবং চামড়া) অধিক মুনাফার জন্য জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করতে চায়। তবে এটা আর হতে দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে সুযোগ নেয়, কিন্তু জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার ব্যবসা করবে না, সুযোগ তৈরি করে দেবে। আগামীতে চামড়া শিল্পে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ ডিসেম্বর) পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহমেদ, ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজারকে অশান্ত করে তুলছে। দেশে অচল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করছে। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সুবিধা দেবে সরকার। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। গতকালও ঋণের সুদহার এক অংকে নামিয়ে আনার জন্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু জনগণকে জিম্মি করে অধিক মুনাফা করা তো ব্যবসা নয়।

কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত চামড়া। কিন্তু সম্ভাবনাময় এই খাতের নানাবিধ সংকট বিদ্যমান। আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী এখনও অসম্পূর্ণ, যা উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে, গঠিত টাস্কফোর্স এবং চামড়া শিল্প নীতিমালা এই খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ধীরে ধীরে কার্যকর হচ্ছে। এই শিল্পে শিশুশ্রমও বন্ধ করা হবে। এতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। প্রসারিত হবে রফতানি বাজার।