মেলায় কর আদায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এনবিআর

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

আয়কর মেলায় কর আহরণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর)। দশম বার অনুষ্ঠিত মেলায় এনবিআরের প্রত্যাশা ছিল রাজস্ব আহরণ হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু গত সপ্তাহ ব্যাপী (১৪-২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত মেলায় কর আয় হয়েছে ২ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা কর কম আদায় হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর ফলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট দশ আয়কর মেলায় ১৫ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে। যা সর্বোচ্চ রেকড। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রত্যাশা অনুসারে কর না আদায় হওয়ার বিষয়ে মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও এনবিআরের সদস্য কালিপদ হালদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মেলার রাজস্ব আদায়ের কোনো টার্গেট ছিলো না। তবে প্রত্যাশা ছিলে এবছর অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা হবে। আমরা তার কাছাকাছি আদায় করেছি।

তিনি বলেন, কর মেলায় মূলত মধ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষ রিটার্ন দাখিল করছেন। তাদের টাকার পরিমাণ কম তাই কর আদায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কিন্তু কর দিচ্ছেন তাতে করের আওতা বাড়ছে। তবে গতবারের চেয়ে ৬ শতাংশ কর বেশি আদায় হয়েছে। এটি পজেটিভ বলে মনে করেন তিনি।

কালিপদ হালদার বলেন, উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মানুষ মেলায় এসেছে। এবার গত বারের চেয়ে বেশি ২ লাখ মানুষ রিটার্ন দাখিল করেছে। তারা আজীবন কর দেবে। একবারই কর আদায় লক্ষ নয়। মেলার মাধ্যমে করের আওতা প্রসারিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেলা শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আয়কর মেলা ২০১৯ এ ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের প্রত্যাশা করছি। ট্যাক্স জিডিপি রেশিও এখন ১০-১১ শতাংশ। আমাদের টাগের্ট ২০২৫ সালে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার। সরকারের এসডিজি গোল অর্জনে অর্থাৎ ২০৩০ সালে বাস্তবায়ন সময়ে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ২০ শতাংশে  উন্নীত করতে চাই।

এনবিআরের তথ্য মতে, দশম আয়কর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে করদাতারা। মেলায় আয়কর রিটার্ন বাবদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫ জন করদাতা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৮ টাকার কর আদায় করেছেন।

এর আগের বছর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩জন। করদাতারা রিটার্ন দাখিল বাবদ ২৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার কর জমা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও মেলায় ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জন সেবা গ্রহণ করেছেন। নতুন করে ৩২ হাজার ৯৬১ জন ইটিআইএন খুলেছেন। যা করের আওতা বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।