সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে আয়কর মেলা,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে আয়কর মেলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় করদাতাদের আয়কর বিবরণী দাখিলসহ এক ছাদের নিচে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

করদাতারা যাতে হয়রানিমুক্তভাবে কর প্রদান করতে পারেন তার সব ধরনের ববস্থা নেওয়া হয়েছে মেলায়। দশমবারের মতো আয়োজিত এ মেলা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন অফিসের সময়ে চলবে।

বিজ্ঞাপন

তবে ‘সাবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগানে দুপুর ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আয়কর মেলায় আসা ব্যক্তিদের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’।

বৃহস্পতিবার মেলার শুরুতে করদাতাদের উপস্থিতি কম থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে করদাতাদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। করদাতাদের সুবিধার্থে এবার প্রথম আয়কর মেলা বিষয়ক www.aykormela.gov.bd ওয়েব সাইট চালু করা হয়েছে। এর ফলে করদাতারা মেলায় না এসেও ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন।

মেলায় অনলাইনে টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধ, রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করা, চালান ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করা, পরিপত্র ও রিটার্ন ফরম পূরণের নির্দেশিকা ডাউনলোড করার সুবিধা রয়েছে।

আয়কর মেলায় আসা ব্যক্তিদের বিভিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এগুলোর পাশাপাশি এবারই প্রথম মোবাইল ব্যাংকিংয়ে করদাতাদের কর দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এনবিআর।

আয়কর মেলা ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সাতদিন, জেলা শহরগুলোতে চার দিন আর উপজেলাগুলোতে দুই দিনব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও আটটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেলার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমানো জরুরি। এ ব্যবধান কমাতে মেলায় ধনীদের কাছ থেকে কর আদায় করা হয়। কর সংস্কৃতির বিকাশ, কর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করদাতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করাই লক্ষ্য।