সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

চলতি বছরে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, শাক-সবজি, মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্যাদি ও জ্বালানি কাঠ ইত্যাদির দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী বলে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ ভাগ, যা আগস্টে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ। মূল্যবৃদ্ধির হার ০৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। অর্থাৎ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হাওয়ার মধ্যে মৃদু কম্পন। এটা তেমন কিছু না। ঠিক হয়ে যাবে।

মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ, শাক-সবজি, মাছ, বয়লার মুরগি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যাদির মূল্য আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছে।

এতে আরও দেখা যায়, খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্যাদি ও জ্বালানি কাঠ ইত্যাদি দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৩০ ও ৫ দশমিক ৯২ ভাগ, যা আগস্টে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ২৭ ও ৫ দশমিক ৮২ ভাগ।

গ্রামীণ পর্যায়ে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪১ ভাগ, যা আগস্টে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৪ ভাগ। আর শহরে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ ভাগ, যা আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ।

গত এক বছরের (২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৫০ ভাগ। একই সময়ে আগের এক বছরের (২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৬৮ ভাগ।