বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইউনাইটেড পাওয়ারের প্রতারণা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনাইটেড পাওয়ার, ছবি: সংগৃহীত

ইউনাইটেড পাওয়ার, ছবি: সংগৃহীত

ঘোষণা দিয়েও শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

চলতি বছরের ৬ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে কোম্পানির করপোরেট পরিচালক ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লিমিটেডের ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠানটির মোট ৪৩ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টির মধ্যে ১ কোটি শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রির ঘোষণা দেয়। নিয়ম অনুসারে ঘোষণা পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করতে হবে। ৩০ কার্যদিবসের শেষ সময় ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ে শেয়ার বিক্রি না বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যা আইনের লঙ্ঘন।

এদিকে, শেয়ার বিক্রির ঘোষণার দেওয়ার পর থেকে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩৯০ দশমিক ৪ টাকা থেকে বেড়ে ২২ আগস্ট দাঁড়ায় ৪১০ দশমিক ৮ টাকা। তবে তারপর থেকে শুরু হয় পতন। যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সোমবার শেয়ারের দাম কমে ২৫৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই শেয়ার বিক্রি কিংবা কিনতে হবে। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার কোনো বিধান নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেড পাওয়ার শেয়ার বিক্রি না করে ৩০ কার্যদিবসের শেষ দিন আমাদের চিঠি দিয়েছে। যে তারা শেয়ার বিক্রি করবে না। তারা কারণ দেখিয়েছে, যে দামে তারা শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিল তার চেয়ে দাম কমে যাওয়ার কারণে শেয়ার বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটিকে যৌক্তিক কারণ হিসেবে বিবেচনা করছি না। তাই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছি। কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঘোষণা দিয়েও শেয়ার বিক্রি না করার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য শোনার পর আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কোম্পানির এজিএম মুজিবুল ইসলাম পাটোয়ারীকে একাধিকবার ফোন করে দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।