‘কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে জেলায় জেলায় হবে গোডাউন’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কোরবানির সময়সহ বছরজুড়ে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জন্য জেলায় জেলায় গোডাউন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এ জন্য দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিসিককে পরামর্শ দেন শিল্পমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-'২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে গৃহীত প্রকল্পগুলোর আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের কাজ দিতে হবে। এছাড়া জমি অধিগ্রহণের কারণে কোনো প্রকল্পের কাজে যাতে দেরি না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

রাসায়নিক পণ্য সংরক্ষণের জন্য তিনটি রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের কাজ দ্রুত দৃশ্যমান করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কাজে দেরি হলে কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য হবে না।’

শিল্প প্রতিমন্ত্রী একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পরিকল্পনা শিল্প মন্ত্রণালয় অনুবিভাগ গঠনের নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।’

প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে বদলি মন্ত্রী পর্যায়ে নিষ্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৪টি চিনিকলের জন্য বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। হাতে কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ নারী কারিগর গড়ে তুলতে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

দক্ষ নারী কারিগর সৃষ্টির প্রকল্পটি আগামীতে অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘চিনিকলগুলো লাভজনক করতে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই।’

সভায় জানানো হয়, অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্ট বা সিইটিপির কাজ এ বছরের অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। কঠিন বর্জ্যের জন্য ডাম্পিং নির্মাণের ডিজাইনের কাজ চলছে। চামড়া শিল্প নগরীর পাশে এক্সেসরিজ শিল্প নগরী স্থাপনের জন্য ২০০ একর জমি নিয়ে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চামড়া খাতের দক্ষ কারিগর তৈরি করতে চামড়া শিল্প ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

সভায় আরও জানানো হয়, মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত বিসিক কেমিক্যাল পল্লীর মাটি ভরাটের কাজ এ বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।