শ্যামপুরে ৫৪টি রাসায়নিক গুদাম হচ্ছে

  • আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরাতে তৎপর সরকার। এরই প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে এসব কারখানা ও গুদাম সাময়িক সময়ের জন্য শ্যামপুরের কদমতলীতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য ৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পও গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করবে। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয় পুরান ঢাকার সব রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম গাজীপুরের টঙ্গীতে স্থানান্তরের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ব্যবসায়ীদের চাপের কারণে সেটা শ্যামপুরে নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি অর্থ বছরে ৩০ কোটি ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে শ্যামপুরে মোট ৫৪টি গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব গুদামে স্বয়ংক্রিয় সিসি ক্যামেরা, অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম, ফায়ার হাইড্র্যান্টসহ স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে।

তবে ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নিলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে আগুন এড়ানো যেত। ওই ঘটনায় ৭৩ জন মারা যান। আর ২০১০ সালে নিমতলীতে আগুনের ঘটনায় ১২৪ জন মারা যান।

জানা গেছে, এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের জন্য ক্ষতিকর ২৯টি দাহ্য পদার্থ শনাক্ত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যাদি সাময়িকভাবে সংরক্ষণের নিমিত্ত বিসিআইসি’র আওতায় ঢাকার শ্যামপুরে উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির নিজস্ব কম্পাউন্ডে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কোনো জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরানো ঢাকার রাসায়নিক কারখানা ও গুদামজনিত দুর্যোগ থেকে দ্রুততম সময়ে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে এবং চাহিদা মাফিক রাসায়নিক পদার্থ আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ করা যাবে। ফলে পরিবেশবান্ধব শিল্পোন্নয়ন ঘটবে এবং শিল্পে উৎপাদনশীলতা বাড়বে।