এ বছরই পরিশোধ করতে হবে শ্রমকল্যাণ তহবিলের অর্থ!

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের নিবন্ধিত সব প্রতিষ্ঠানকে শ্রমআইন-২০০৬ এর ২৩২ ধারা অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই (২০১৮-১৯) নিট মুনাফার অংশ শ্রমকল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে।

এমন নির্দেশ সম্বলিত চিঠি এপ্রিল মাসের মধ্যেই সব প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে বলে জানা যায় শ্রমমন্ত্রণালয় সূত্রে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রটি জানায়, ২০০৬ সালের শ্রমআইন অনুযায়ী যে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পত্তি ১ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ পাবেন কর্মীরা। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ পাবেন সরাসরি কর্মীরা। আর বাকি ১০ শতাংশ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরের শ্রমকল্যাণ ফান্ডে ও ১০ শতাংশ দিতে হবে শ্রমকল্যাণ তহবিলে। কিন্তু শ্রমকল্যাণ তহবিলে দেশের নিবন্ধিত বেশির ভাগ কোম্পানিই অর্থ দেয় না। বারবার মৌখিকভাবে বলার পরও তারা শ্রমআইনের ধারাটি মানতে নারাজ।

এদিকে অর্থ আদায়ে গতি আনতে পারছে না শ্রমকল্যাণ তহবিল। অর্থ আদায়ে গতি আনতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমকল্যাণ তহবিলকে প্রতি মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে অর্থ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সংক্রান্ত সব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতি মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শ্রমকল্যাণ তহবিলে।

আর শ্রমমন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ীই নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে শ্রমকল্যাণ তহবিল। আর তালিকা তৈরির কাজ শেষ করে চলতি মাসের মধ্যেই সব কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হবে। চিঠির মাধ্যমে জুন মাসের মধ্যেই শ্রমকল্যাণ তহবিলে অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা যায় শ্রমকল্যাণ তহবিল সূত্রে।

এসব বিষয়ে শ্রমকল্যাণ তহবিলের মহাপরিচালক ডা. এ এম এম আনিসুল আওয়াল বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায় করা কঠিন। এক এক কোম্পানি এক এক সময় এসে টাকা জমা দিয়ে যায়। আর এটি সত্য যে আমরা দেশের নিবন্ধিত সব কোম্পানিকে চিঠি দেবো চলতি মাসের মধ্যেই। আর ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মধ্যেই শ্রমকল্যাণ তহবিলে কোম্পানিগুলোকে অর্থ দিতে হবে। শ্রমকল্যাণ তহবিলের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অর্থ আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই আদায় হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে অনুদান দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।