রমজানে আট হাজার টন পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বছরের অন্যান্য সময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তৎপরতা তেমন চোখে না পড়লেও রমজানে সরকারি এই সংস্থাটির কার্যক্রম বেশি দেখা যায়।

অন্যান্যবারের মতো এবারও পাঁচটি পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। আসন্ন রমজানে প্রায় আট হাজার টন পণ্য বিক্রি করবে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

টিসিবি থেকে জানা যায়, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে পারাটা নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আশার আলোর মতোই। আর তাই নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে সারা বছরই পণ্য সংগ্রহ করে টিসিবি। তবে রমজান এলেই টিসিবির পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ভোক্তাদের চাহিদার দিকে নজর রেখেই তাই রমজানকে কেন্দ্র করে টিসিবির বাড়তি প্রস্তুতি থাকে। আসন্ন রমজানের চাহিদা পূরণে টিসিবির প্রস্তুতি শেষের দিকে। এরই মধ্যে ছোলা, মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি ও খেজুর মজুদ হয়েছে প্রায় আট হাজার টন। এর মধ্যে ছোলা রয়েছে দেড় হাজার টন, খেজুর একশ টন, ভোজ্য তেল প্রায় আড়াই হাজার টন, দুই হাজার টন চিনি ও মসুর ডাল মজুদ রয়েছে এক হাজার টন।

তবে এখনও কোনো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেনি টিসিবি। সে বিষয়ে বাজার মূল্য ও মানুষের সামর্থ্যের দিকে নজর রেখেই মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানা যায় টিসিবি সূত্রে।

অন্যদিকে, রমজানের সাত থেকে ১০ দিন আগে থেকে বাজারে টিসিরি পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

এসব বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, রমজানের জন্য টিসিবির প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমাদের নির্ধারিত ডিলার ছাড়াও খোলা ট্রাকে অন্যান্যবারের মতো পণ্য বিক্রি করা হবে। তবে পণ্যের দাম বা কবে থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিগগিরই সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির দুই হাজার ৮২৭ জন ডিলার পণ্য বিক্রয় করবেন। মোট ১৮৭টি নির্ধারিত স্থানে টিসিবি পণ্য পাবেন গ্রাহকরা। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫টি স্থানে, চট্টগ্রামে ১০টি স্থানে ও প্রতি বিভাগে পাঁচটি করে স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হবে রমজানে।

১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় টিসিবি। আশির দশকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বিকাশের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সীমিত হয়ে আসে। পরে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সরকারি উদ্যোগের অপরিহার্যতা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার টিসিবিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়।