রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়া হবে: গভর্নর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে ছোলা, চিনি, গম, ভোজ্যতেলসহ ৪/৫টি পণ্য আমদানিতে সাময়িকভাবে এলসি মার্জিন ও ঋণসীমা উঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্য নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সাপ্লাই চেইন নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। আমরা প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের ডিউটি জিরো করে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের। এলসির মার্জিনতো আগেই উঠিয়ে দিয়েছিলাম। এখন আমরা আগামী রোববার একটি সার্কুলার ইস্যু করব যে নিত্যপণ্যের ওপর যেন কোনো মার্জিন না দেওয়া হয়। আমরা উঠিয়ে দিয়েছিলাম ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করব যাতে নিত্যপণ্য ওপর আগামী রোজা পর্যন্ত যেন এলসি মার্জিন চার্জ না করে। এটা একটা উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত এটা আমরা করব।

দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ার জন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটি স্থিতিশীল হতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে বলে জানান ড. আহসান এইচ মনসুর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে উঠেছে। এটি বন্যাসহ নানা কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আন্তজার্তিক বাজারে এনার্জি পণ্যের দাম কমলে দেশে এর প্রভাব পড়বে। এরইমধ্যে ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটতে শুরু করেছে। তাছাড়া, ব্যাংকে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। এ সময় কেউ ডলার না দিলে তা আবহিত করার কথাও বলেন তিনি।

প্রতিনিয়ত বাজারে মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না। এক এগারোর সময় ভয় দেখিয়ে নয় স্বাভাবিকভাবে বুঝিয়ে যোগান বাড়াতে দেখেছি। এ সময় ফুটপাতে মানুষের হাঁটার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।