খাদের কিনারে গ্যাস খাত, মহাবিপর্যয়ের শঙ্কা
খাদের কিনারে দেশের গ্যাস সেক্টর, সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে ২০২৬ সাল নাগাদ মহাবিপর্যয়ের শঙ্কা দেখছেন অনেকেই। বিপর্যয় ঠেকাতে ভোলা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস আনাসহ খুব বেশি বিকল্পই হাতে নেই।
এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে সামাল দেওয়াকে বিপদজনক বিকল্প হিসেবে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। আকাশচুম্বি দাম যেমন বাধা, তেমনি চাইলেই ইচ্ছামতো আমদানির পরিমাণ বাড়ানো সুযোগ নেই। দুটি এফএসআরইউ দিয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ ৯০০ মিলিয়ন আমদানি করা সম্ভব। নতুন এফএসআরইউ করতে গেলে দরপত্র চূড়ান্ত করার পর কমপক্ষে ১৮ মাস লাগবে। অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত এলএনজি আমদানি বাড়ানোর কোনো পথ খোলা নেই, দামের ইস্যু বাদ দিলেও।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস মিলছে ১ টাকায়, একই পরিমাণ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে খরচ পড়ছে ৭১ টাকা। অর্থাৎ আমদানি করলে সত্তর গুণ বেশি দাম পড়ছে, সেই মূল্য পরিশোধ করার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশি ভোক্তারা।
পেট্রোবাংলা সুত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১ টাকা দরে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি থেকে ১.২৫ টাকা দরে, বাপেক্স থেকে ৪ টাকা দরে। বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ও টাল্লোর কাছ থেকে কেনা গ্যাসের সংমিশ্রনে গড় দর দাঁড়ায় ৬.০৭ টাকা ঘনমিটার। দেশীয় এসব উৎস থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক কমবেশি ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এলএনজি আমদানি থেকে ৯০০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। এক-তৃতীয়াংশ আমদানির পর গড় দর ৬ দশমিক ০৬ টাকা থেকে বেড়ে ২৪ দশমিক ৩৮ টাকা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা সুত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস আমদানি করায় গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩৮ টাকা। আর গ্যাসের গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ২২ দশমিক ৮৭ টাকা। এতে করে প্রতি ঘনমিটারে ১ দশমিক ৫৬ টাকা লোকসান হয়েছে পেট্রোবাংলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্পর্ট মার্কেট থেকে আনা এলএনজির দাম পড়েছিল ৬৫ টাকা, যা আগস্টে (২০২৪) ৭১ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
যখন এক-তুতীয়াংশ আমদানি করতে ত্রাহী অবস্থা, সেই সময়ে দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর মজুদ ফুরিয়ে আসছে, এতে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে উৎপাদন। এক সময় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতো ৫ নভেম্বর ১৯৭২ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন হয়েছে।
সবচেয়ে শঙ্কার হচ্ছে দেশের বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানার মজুদ ফুরিয়ে আসছে। দেশীয় উৎসের ৫০ শতাংশ যোগান আসছে ওই গ্যাস ফিল্ডটি থেকে। এক সময় ১ হাজার ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হলেও ৫ নভেম্বর পাওয়া গেছে মাত্র ৯৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০২৬ সাল নাগাদ গ্যাসক্ষেত্রটির মজুদ শেষ হয়ে যেতে পারে। শঙ্কা সত্যি হলে দেশীয় উৎসের গ্যাস ১ হাজার মিলিয়ন কমে যাবে। ওই পরিমাণ গ্যাস বাড়তি আমদানি করলে ৬ দশমিক ০৭ টাকার অনুপাত অর্ধেকে নেমে আসবে, আর ৭১ টাকার অনুপাত দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
পেট্রোবাংলার প্রাক্কলন বলছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। যদিও কেউ কেউ বলতে চান এখনই গ্যাসের প্রকৃত চাহিদা সাড়ে ৪ হাজারের মতো। ঘাটতি কম দেখাতে কৌশল হিসেবে চাহিদা কম দেখানো হচ্ছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, এলএনজি আমদানি সমর্থন করি, তবে এটা সীমিত রাখতে হবে। আমরা যদি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জ্বালানি সরবরাহ দিতে চাই তাহলে এ খাতে আমদানি ব্যয় দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলার। যা আমাদের অর্থনীতির জন্য খুবই জটিল। আমাদের দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আমরা যদি বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ধরে রাখতে চাই তাহলে বছরে কমপক্ষে ১০ অনুসন্ধান কূপ খনন করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে গ্যাস ২০ শতাংশ আমদানি করে ২২ টাকার মতো খরচ দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ সালে আমদানি ৫০ শতাংশ হলে মূল্য (ঘনমিটার) দাঁড়াবে ৩৮ টাকা। আর যদি আমদানি ৮০ শতাংশ করতে হয় তাহলে গড় মূল্য ৫৫ টাকার মতো পড়বে। অতএব দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার বিকল্প নেই।
প্রাথমিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মকবুল ই এলাহী চৌধুরীর বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমি মনে করি শুধু খাদ নয় আরও বড় কিছুর কিনারায় রয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত। দীর্ঘদিনের পুঁঞ্জিভূত ঢিলেমির কারণে আজকে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে যথাযথ মনোযোগ না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন অচল, আর বিদ্যুৎ দিতে গেলে জ্বালানি লাগবেই। কিন্তু এলএনজি আমদানি করে কোনভাবেই সামাল দেওয়া সম্ভব না।
যেসব সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বলেন, খুব দ্রুততার সঙ্গে নতুন কূপ খনন করা, পুরাতন কূপগুলো সংস্কার করে উৎপাদন বাড়ানো। বিবিয়ানা কূপ থেকে ৭০ মিলিয়ন পর্যন্ত উৎপাদন করছে, বেশি রিজার্ভ থাকার পর রশিদপুর ও তিতাস গ্যাস ফিল্ডের কূপ দিয়ে ১০ থেকে ২৫ মিলিয়ন সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে।
আরেকটি কাজ রয়েছে গ্যাস চুরি বন্ধ করা। এক তিতাসের গ্যাস চুরি বন্ধ করা গেলে সেই গ্যাস দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। দৈনিক ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় ৮ শতাংশের মতো সিস্টেম লস হচ্ছে, অর্থাৎ প্রায় ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি হচ্ছে। যদিও কিছু কারিগরি লোকসান থাকা স্বাভাবিক। তবে ৮ শতাংশ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সিস্টেম লস বিবেচ্য হতে পারে।
শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র মূল্যায়ন ও উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন পরিচালক ও বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিবিয়ানা হঠাৎ করে বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি না। এক সময় ১ হাজার ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন করেছে, এখন প্রতিনিয়ত কমতে কমতে ১ হাজারের নীচে নেমেছে। বিবিয়ানার মজুদ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই খোলাসা করে কোনো তথ্য দেওয়া হয় না।
পেট্রোবাংলার সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২২-২৩) অনুযায়ী ২০২৩ সালের জুলাইয়ে অবশিষ্ট মজুদ দেখানো হয় ১৩৪ বিসিএফ। এরপর বলা হয়েছিল বিবিয়ানার মজুদ ১ টিসিএফ বাড়তে পারে। এরপর ১৬ মাস (৪৮৫ দিন) কেটে গেছে। দৈনিক গড়ে ১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করছে সে হিসেবে অবশিষ্ট মজুদ ৬০০ এর নীচে নেমে এসেছে। সরল অংকে ৬০০ দিন চলার কথা। কিন্তু গ্যাসের ক্ষেত্রে তা কখনই সম্ভব হয় না, হঠাৎ করে পানি ও বালি এসে বন্ধ হতে পারে উৎপাদন।
সাবেক এমডি আমজাদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি ভোলা থেকে পাইপ লাইন করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া যেভাবে দ্বীপগুলো থেকে ট্যাংকারে করে গ্যাস আনে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। ট্যাংকারে করে সাঙ্গু প্ল্যার্টফর্মে নিয়ে ইনজেক্ট করবে। সাঙ্গুর অবকাঠামো ব্যবহার করে পাইপলাইনে গ্যাস যুক্ত হবে গ্রিডে। এই ট্যাংকার আমাদের দরকার, পরে যখন কতুবদিয়া এবং শ্যালোতে গ্যাস পাবো সেগুলো আনতে ট্যাংকারগুলো ব্যবহৃত হবে।
ভোলা-খুলনা (ভায়া বরিশাল) পাইপলাইন করতে গেলে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। বিতর্ক রয়েছে পাইপলাইন করলে সেই টাকা উঠবে কি-না! এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি মনে করি ভোলায় কমপক্ষে ৫ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস রয়েছে, ওই এলাকায় যতগুলো কূপ খনন করা হয়েছে সবগুলোতে গ্যাস পাওয়া গেছে। ভোলা ইস্ট থেকে ভোলা নর্থের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। সেখানে গ্যাস পাওয়া গেছে। হাতিয়া ট্র্যাপে যতগুলো কূপ করেছি, কোনো মিস হয়নি, মুলাদি, বেগমগঞ্জ, সুন্দলপুর, ভোলা, সাঙ্গু সব জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেছে। বিবিয়ানার পর এটা হবে সবচেয়ে বড় রিজার্ভ।
ভোলার প্রমাণিত মজুদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে তিতাস গ্যাস ফিল্ড যখন ঘোষণা দেওয়া হয়, তখন মজুদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ টিসিএফ, এখন সেখানে ৭ টিসিএফ বলা হচ্ছে। একইভাবে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড ২ টিসিএফ নিয়ে যাত্রা করে, ধীরে ধীরে রিজার্ভ বেড়েছে। গ্যাস ফিল্ডের মৃত্যূ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত মজুদ বলা সম্ভব না।
ক্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বহুকাল থেকে বিবিয়ানার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ২০২৬ সালে গিয়ে এর উৎপাদনে ধ্বস নামতে পারে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা আমলে নেওয়া হয়নি। জরুরিভিত্তিতে কতগুলো কাজ করা দরকার। এরমধ্যে ভোলার গ্যাস নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা উচিত। ছাতকে ১ টিসিএফ গ্যাস রয়েছে সেখান থেকে গ্যাস আনা দরকার।
পাশাপাশি গ্যাসের চাহিদা ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনার পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, আমদানি করা গ্যাস দিয়ে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব। আমদানি করলে যে দাম পড়বে সেই দাম দেওয়ার মতো অবস্থা নেই বাংলাদেশের অর্থনীতির। জ্বালানির বহুমূখীতা দরকার, আমি মনে করি পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সেভাবে প্লানিং করা দরকার।
ভোলার গ্যাস স্থলভাগে আনতে বাধা কোথায়?
ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা নিতে গেলে ১৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন দরকার। তাতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচের প্রক্কলন করা হয়েছে। গ্যাসের মজুদ বেশি না থাকলে পাইপলাইনের খরচ উঠবে কিভাবে। ঋণ পেতে গেলেও তার নিশ্চয়তা চাইবে ঋণদাতারা। ২০০৪ সালে পাইপলাইন নির্মাণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সেই গ্যারান্টি চাইলে প্রকল্প ভেস্তে যায় বলে জানান মকবুল ই-এলাহী চেীধুরী।
৭ হাজার কোটি টাকার জন্য যখন পাইপলাইন আটকা, তখন এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে ৬৪৯ কোটি টাকা (আগস্টের দরপত্র)। যা দেশের ১ দিনের চাহিদার (৩০০০ মিলিয়ন) সমান।
দ্বীপজেলা ভোলাতে ২টি গ্যাস ফিল্ড আবিস্কৃত হয়েছে। সেখানে ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে, যেগুলোর দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু চাহিদা না থাকায় মাত্র ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট (৬ নভেম্বর) উত্তোলন করা হয়েছে। সেখানে আরও ১৫টি কূপ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করলে এক সময় শেষ হবে এটা সবার জানা কথা। সেখানে কারও কিছু করার নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিবিয়ানা থেকে যে পরিমাণ গ্যাস কমে যাবে তার জন্য আমরা কি করছি। আমাদের ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কূপ খননের মাধ্যমে ৬০০ মিলিয়ন উৎপাদন বাড়বে। ইতোমধ্যে ১৬ কূপ খননের মাধ্যমে ১৯০ মিলিয়ন উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়া আরও ১০০ কূপ খননের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে বাইরে আর গভীর সমুদ্র ও পার্বত্য এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে গ্যাস উত্তোলনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে গ্যাসের সন্ধান পেলেও ৮ থেকে ১২ বছর সময় লাগবে। আর পার্বত্য এলাকায় দরপত্র আহ্বানের জন্য মডেল পিএসসি (উৎপাদন বন্টন চুক্তি) প্রণয়নের কাজ চলছে মাত্র। সম্ভাবনাময় এসব উৎসে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত মনে করা হলেও সিস্টেমে সেই গ্যাস যোগ হওয়া অনেক দেরি। সে কারণে ২০২৭ ও ২০২৮ সময়টাকে মোকাবিলা করতে হলে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে দেশের অর্থনীতির জন্য সমূহ বিপদের শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।