শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক কেন টার্গেট?

  • মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক কেন টার্গেট?

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক কেন টার্গেট?

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের অবস্থা এখন আরও খারাপ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরও আগে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে জড়িয়ে ‘শরিয়াহভিত্তিক ৬ ব্যাংকের অবস্থা এখন আরও খারাপ,’ ‘শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে এক মাসে আমানতের চেয়ে ৯ গুণ বেশি ঋণ,’ ‘শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের আমানতে গতি কম, ঋণে বেশি,’ ‘আমানত কমলেও ঋণ বাড়ছে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর,’ ‘প্রতিদিনই জরিমানা দিচ্ছে শরিয়াহভিত্তিক ছয় ব্যাংক,’ ‘টাকার সংকটে পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের লেনদেন সেবা বন্ধের উপক্রম,’ ‘শরিয়াহ ব্যাংকের কারণে তারল্য ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত’সহ এ জাতীয় শিরোনামে নিউজ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

এ সব নিউজের প্রেক্ষিতে জনমানসে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, দেশের ব্যাংক সেক্টরে যত ধরনের অনিয়ম, সংকট ও অব্যবস্থাপনা এই ‘শরিয়াহ’কে ঘিরে! ধারাবাহিকভাবে সংবাদের শুরুতে ‘শরিয়াহভিত্তিক’ শব্দজুড়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে শরিয়াহ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন, বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ নিতে অক্ষম শরিয়াহ ব্যবস্থাপনা। বস্তুত এটা ইসলামি ব্যাংকিং ধারাকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াসে ধারাবাহিকভাবে এ জাতীয় শিরোনাম ও সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বৈশ্বিক নানা কারণে দেশের ব্যাংকিং খাত খুব স্থিতিশীল, এটা বলার অবকাশ নেই। কমবেশি সব ব্যাংকেই নানা অনিয়ম ও অস্থিরতা বিদ্যমান। ২০২৩ সালে তিন দিনের ব্যবধানে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় আমেরিকার দুটি ব্যাংক। এগুলো হলো সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) ও নিউ ইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকই সব সমস্যার মূল নয়। সম্প্রতি দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তালিকায় কোনো শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের নাম না থাকাই প্রমাণ করে, এসব ব্যাংক খুব ঝুঁকিতে নেই।

বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পথচলা শুরু ১৯৮৩ সালে। দীর্ঘ চার দশকে ব্যাংকিংয়ের শরিয়াহভিত্তিক ধারা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে ১০টি ইসলামি ব্যাংকের সঙ্গে প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষায়িত শাখা ও উইন্ডোর মাধ্যমে চালাচ্ছে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম।

ইসলামি ব্যাংক, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ও ইন্স্যুরেন্সের মতো সেবা- বৈশ্বিক আর্থিক খাতে এখন উল্লেখযোগ্য একটি স্থান অর্জন করে নিয়েছে। ঝুঁকি ভাগাভাগি, অন্তর্ভুক্তি ও প্রকৃত সম্পদভিত্তিক লেনদেনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হচ্ছে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বৈশ্বিক এ প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিনে দিনে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলছে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে ইসলামি ব্যাংকিং। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর কাছেও তা ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় ও লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সম্পর্কিত নানা তথ্য-উপাত্ত, পুরস্কার, অর্জন ও হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো প্রকাশ করে। সেসব ছাপিয়ে একথা জোর দিয়েই বলা যায়, বাংলাদেশের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ইসলামি ব্যাংকিংকে গ্রহণ করে নিয়েছে। ফলে স্বেচ্ছায় সাধারণ মানুষ আস্থার সঙ্গে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। এমতাবস্থায় অনেকে তাদের অজানা ভবিষ্যতের শঙ্কায় সামগ্রিকভাবে শরিয়াহ কনসেপ্টের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।

১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ায় কিস্তিতে পবিত্র হজের অর্থ জমাগ্রহণের উদ্দেশ্যে ‘পিলগ্রিমস্ সেভিংস করপোরেশন’ নামে প্রথম সুদমুক্ত একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৯৬৩ সালে মিসরের মিত্বগামার ব্যাংক নামে আধুনিক বিশ্বের প্রথম সুদমুক্ত ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৪ সালের ওআইসির সম্মেলনে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০টির মতো অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসহ সারাবিশ্বের ১০০টি দেশে ইসলামিক ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বহু সুদভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ইতোমধ্যে ইসলামি ব্যাংকিং পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে।

বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং সেক্টরে নানা সফলতা, পুরস্কার ও অর্জন রয়েছে। বলা চলে, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাত বিকশিত করার অন্যতম কারিগর। ইসলামি ব্যাংকিংয়ের প্রতি মানুষ আগ্রহী নানা কারণে। সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষ, প্রবাসী থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের সহজ-সরল নারী-পুরুষ এমনকি একজন ন্যূনতম সঞ্চয়কামী লোকটি তার লেনদেন কিংবা সঞ্চয়ের জন্য প্রথমে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক খুঁজে। তাদের কাছে এই আস্থা, বিশ্বাস অর্জিত হয়েছে শরিয়াহর কারণে। এজন্য প্রচুর মার্কেটিং ও প্রচারণার দরকার পড়েনি, এ কারণেই হাতেগোণা কয়েকটি ব্যাংক ব্যাংকিং সেক্টরের ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এমন সাফল্য সহজ নয়। সুতরাং শরিয়াহবিরোধী যে কারো গাত্রদাহের কারণ হবে, এটাই স্বাভাবিক। ফলে মাসে নিয়ম করে তিন-চারটি করে প্রতিবেদন করে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ হারাম এবং ব্যবসা হালাল। তাই অনেক গ্রাহক কনভেনশনাল ব্যাংকে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। একই কারণে অনেক উদ্যোক্তা ইসলামি ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। এখানে আস্থা এবং বিশ্বাসের একটা ব্যাপার আছে। সঙ্গত কারণেই প্রায় ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সফল হবে এটাই স্বাভাবিক। এ দেশের সাধারণ মানুষের ধারণা, এসব ব্যাংক ইসলামি আদর্শে পরিচালিত হয়, অন্য ব্যাংকগুলোর মতো এখানে দুর্নীতি হয় না। ইসলামি ব্যাংক সমাজের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে এবং গ্রাহকের সততা ও পূর্ব রেকর্ড, উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতা, জামানতের যথার্থতা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ প্রকল্প বাছাই করে। তাই এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকি সবসময়ই সর্বনিম্ন থাকে।

তারপরও সমসাময়িক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নামে-বেনামে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ বিতরণ এবং অর্থ তছরুপের ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, বিশ্বব্যাপী সফল এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা কি বাংলাদেশে সফল নয়? শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যাংকির সেক্টরে নানা ভজঘট সৃষ্টির জন্য দায়ি? লাখ-লাখ মানুষের আমানতের নিরাপত্তা কি হুমকির মুখে?

এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিশ্বে এক সফল বাস্তবতা। বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠা থেকে দেশের অর্থনীতি এবং সমাজনীতির সবক্ষেত্রে এই ব্যবস্থার রয়েছে ঈর্ষণীয় সফলতা। সেই সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মদদে, ইসলামকে পছন্দ করে না এমন শক্তি ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কখনো বসে ছিল না। তারা ইসলামি ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে, পুরো সেক্টরকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এর মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষী শক্তির ইসলামি অর্থব্যবস্থাকে ব্যর্থ করার একটা নীলনকশা রয়েছে। প্রমাণ করার অপচেষ্টা করা যে, ইসলামে আসলে অর্থব্যবস্থা বা ব্যাংকিং বলে কিছু নেই।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বর্তমান যে অভিযোগের কথা প্রচার মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, তা যদি সত্যও হয়ে থাকে; তবে তার জন্য ইসলাম এবং ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা দায়ী নয়। এমন কি ইসলামের প্রকৃত অনুসারীরাও কোনোভাবেই ব্যর্থ নয়। প্রচারমাধ্যম অনুযায়ী ব্যর্থতা যদি কিছু থেকে থাকে, তা ইসলামবিদ্বেষী ও স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র ও লোভের বহিঃপ্রকাশ, যা দেশের অন্যান্য অনেক খাতেও হচ্ছে।

এ যুগে ইসলামি ব্যাংকিং সম্ভব এবং যতগুলো ইসলামি ব্যাংক রয়েছে- সেগুলো সমৃদ্ধি লাভ করুক আর এ কাতারে আরও ব্যাংক শামিল হোক। তবে অবশ্য অবশ্যই সব ইসলামি ব্যাংককে হতে হবে শরিয়াহ পরিপালনের দিক থেকে আপোষহীন। শুধু ইসলামি নামসর্বস্ব কোনো কিছু কাম্য নয়। ইসলামি ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ পরিপালন নিশ্চিতের জন্য মালিকপক্ষ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরিয়াহ পরিপালন বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। লোকদেখানো ২-৪ দিন কিংবা কয়েক ঘন্টার কর্মশালা নয়, কার্যকর প্রশিক্ষণ।

ইসলামি ব্যাংকগুলো শরিয়াহ পরিপালন নিশ্চিতের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন একটি শরিয়াহ কাউন্সিল। যাদের থাকবে প্রচুর ক্ষমতা, তারা এডভাইজারি কাউন্সিল না হয়ে সুপারভাইজারি কাউন্সিল হবেন। তারা ব্যাংকিং বিষয়ে হবেন যোগ্য ও অভিজ্ঞ আলেম, তারা নাজায়েজ ও মাকরূহগুলোকে কোনো বাহানার আশ্রয় নিয়ে জায়েজ করবেন না। নিজে কমিটিতে আছেন বলে ইসলামি হওয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে দেবেন না। এ ছাড়া সহজভাবে মানুষকে শরিয়াহ পরিপালনে সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা রাখা। প্রয়োজনে শাখাগুলোতে ব্যাংকের ক্লায়েন্ট ও অন্যান্যদের শরিয়াহ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পরামর্শ দিতে শরিয়াহ বিষয়ক ডেস্ক, সেল ও কল সেন্টার করা।

গত চার দশকে দেশে সবচেয়ে দ্রুত বিকশিত হয়েছে ইসলামি ধারার ব্যাংকিং। দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় ৩০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ এখন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর হাতে।জনপ্রিয়তা ও প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থাকলেও ইসলামি ধারার ব্যাংকিং চলছে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছাড়া। দেশে ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালিত হচ্ছে শুধু ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা একটি নির্দেশিকার ওপর ভর করে। এটাকে আরও কার্যকর করে পরিধি বাড়ানো। কার্যক্রম শুরুর চার দশকেও বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে কোনো আইন না হওয়ার বিষয়টিকে আলোচনায় না এনে, এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার না করে; শরিয়াহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিশ্চয়ই উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও দুঃখজনক। এ কারণে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মতো কল্যাণমুখী ব্যাংক ব্যবস্থা জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। আর এ কাজে হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির গণমাধ্যম।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। সব ব্যাংকের চিত্র একই, সেখানে ইচ্ছা করে শুধু ইসলামি ব্যাংকগুলোর বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে। তারপরও কথা যেহেতু উঠেছে, তাই এখন ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর সঞ্চয়, খেলাপি ঋণ, ঋণ বিতরণসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।

গত চার দশকে ইসলামি ধারার ব্যাংক নিয়ে কখনও বিতর্ক ওঠেনি। এ ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত সবসময়ই উদ্বৃত্ত ছিল। অন্য ব্যাংকগুলোর আমানতের দরকার হলে তারা ইসলামি ব্যাংকের কাছ থেকে আমানত নিয়েছে। এখন বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আন্তরিকভাবে অনুধাবন করলেই মঙ্গল। কারণ এর সঙ্গে শুধু ব্যবসা আর মুনাফা নয়, জড়িত ইসলামি ভাবধারা সুমন্নত রাখার বিষয়ও।