পুরোমাত্রায় উৎপাদনে ফিরেছে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি: ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পুরোমাত্রায় উৎপাদনে ফিরেছে ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ৯টায় ১৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে বলে জানিয়েছে আদানি গ্রুপ সুত্র।

আদানির ওই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। একটি ইউনিট ঈদের ছুটিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে যায়।

বিজ্ঞাপন

আরেকটি ইউনিট থেকে আংশিক উৎপাদনে থাকা অবস্থায় ২৯ জুন টেকনিক্যাল কারনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারন করে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২ জুলাই উৎপাদনে ফেরার তথ্য আগেই নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে ছিল আদানির একটি ইউনিট। সেটিও কাল-পরশুর মধ্যে উৎপাদনে আসবে। আর যে ইউনিটটির টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যেই উৎপাদনে এসেছে। আমাদের পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। সেটিও শিগগিরই উৎপাদনে আসবে। তখন আর বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতি থাকবে না।

আদানির ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে বাংলাদেশে আসে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

পিজিসিবি সুত্র জানিয়েছিল, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বাই রোটেশনে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিটথেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।