পাট রফতানি কমেছে, বেড়েছে চা ও চামড়া

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাট, কৃষিজাত পণ্য ও হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমেছে, বেড়েছে চা, চামড়া ও শিল্পজাত পণ্যের। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে চায়ে, এ খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) চা রফতানির আয় ছিল ১ মিলিয়ন ডলার, চলতি অর্থবছরে একই সময়ে চা রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩ মিলিয়ন ডলার। চায়ের পরে রয়েছে হস্ত শিল্পজাত দ্রব্যের। ওই খাত থেকে আয় এসেছে ২৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ মিলিয়ন বেশি। জুতা রফতানি বেড়েছে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিজ্ঞাপন

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, কাঁচাপাট রফতানি কমেছে ৪.৮৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) কাঁচাপাট রফতানির আয় ছিল ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কাঁচাপাট রফতানি হয়েছে মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার। কাঁচাপাট রফতানি কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাটজাত পণ্যের রফতানি ২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাটজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আরও কমেছে প্রাথমিক পণ্যের (কাঁচাপাট, চা, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য ও অন্যান্য) রফতানি আয়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক পণ্যের রফতানি আয় হয়েছে মোট রফতানি আয়ের ২.৬৩ শতাংশ, যা আগের বছরে ছিল ২.৯ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পজাত পণ্যের অনুপাত বেড়েছে। আগের বছর ছিল ৯৭.১ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে এসেছে ৯৭.৩৭ শতাংশ।

রফতানির পরিমাণ কমলেও দেশ হিসেবে এবারও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১০৩.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পূর্ববতী বছরের তুলনায় ৩৩৬ মিলিয়ন ডলার কম। একইভাবে জার্মানিতে রফতানির পরিমাণ কমলেও দেশটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় এসেছে। জার্মানিতে আগের বছরের তুলনায় রফতানি কমেছে প্রায় ৫৯৪ মিলিয়ন ডলার। জার্মানিতে মোট রফতানির (৮ মাসে) পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১২ মিলিয়ন।

দেশ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় রফতানি বেড়েছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে মোট রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৫ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৫৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।