রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, মে মাসে এলো ২১৪ কোটি ডলার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে বৈধ পথে ২১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে পরপর দুই মাস দেশে আসা প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। গত এপ্রিলে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। 

প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৯ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসের প্রবাসী আয়ের যে হিসাব দিয়েছে, সেটি ২৯ মে, বুধবার পর্যন্ত। এরপর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন চালু ছিল ব্যাংকে। ওই দিন ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের হিসাব যুক্ত হলে তাতে মে মাসে আসা আয় আরও বাড়বে। তাই চূড়ান্ত হিসাবে মে মাসে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি হলে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড হবে মে মাসে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২১৬ কোটি ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের উল্লেখিত সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।