‘চ্যালেঞ্জ, সৌর বিদ্যুতে ১.১ একরের বেশি জমি লাগে না’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি ১ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১ দশমিক ১ একরের বেশি জমি লাগে না। কারো আপত্তি থাকলে আসেন বৈঠক করি, আমি প্রমাণ করে দেবো, বৈঠকের সব খরচ আমার।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি মেগাওয়াটের জন্য সাড়ে ৩ একর করে জমি কেনার অনুমতি দিচ্ছে। কেনো বেশি জমি কিনছে, কারণ একটাই ভবিষ্যতে বিক্রি করবে বলে। কারণ জমির দাম সবচেয়ে বেশি গতিতে বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ব্র্যাক সেন্টার ইন অডিটরিয়ামে সিপিডি ডায়লগে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জ্বালানি রূপান্তরে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, রাজনৈতিকদলের নির্বাচনী ইশতেহার শীর্ষক ডায়লগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, কেউ যদি আমার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে চান আসেন আমি প্রমাণ করে দেবো। ১০১ শতাংশের বেশি জমি লাগে না। সিপিডিকে বিতর্ক আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা গোলটেবিল বৈঠক ডাকেন আমি স্পন্সর করবো।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতের জ্বালানি সংকট দূর করতে ব্যাটারিতে যাবেন না। প্লিজ এটা করতে যাবেন না। এটা করে আরেকটি সংকট তৈরি করবেন না। লাখ লাখ ব্যাটারি নতুন করে সংকট তৈরি করবে। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কথা ‍শুনবেন না। দেশীয় বিশেষজ্ঞদের কথা শুনুন, তারা এদেশের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, প্রতি মেগাওয়াটে ৩ একর জমির প্রয়োজন নেই, ২ একর দরকার। তবে কিছু জমি এসোসিয়েট হিসেবে দরকার।

প্যানেল আলোচক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম বলেন, জ্বালানি রূপান্তরের বিষয়টি অনেক ভেবে করতে হবে। আমাদের পরিবেশ ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে। অন্য দেশের সঙ্গে মেলাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে চীন ও ভারত। আবার তাদের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও অনেক বেশি। জনগণ চায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ তারা এতো কিছু বুঝতে চায় না। এ কারণে সরকার চাপ অনুভব করে।

সিপিডিরি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মকবুল ই এলাহী চৌধুরী, ড. বদরুল ইমাম, একশন এইডের এনার্জি এনার্জি ট্রানজিশন বিভাগের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।