পর্দা উঠলো বাণিজ্য মেলার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ / ছবি: বার্তা২৪.কম

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ / ছবি: বার্তা২৪.কম

২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাসব্যাপী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। সাধারণত প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এবার ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দর্শনার্থীরা বাণিজ্য মেলা পরিদর্শন ও কেনাকাটা করার সুযোগ পাবেন।

বিজ্ঞাপন

এবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন রয়েছে ১১০টি। মোট মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৮৩টি ও স্টল রয়েছে ৪১২টি। মেলার মাঠের আয়তন ৩১ দশমিক ৫৩ একর।

মেলায় প্রবেশে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকেটের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবার অনলাইনের মাধ্যমেও টিকেট পাবেন দর্শনার্থীরা।

২৪তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২২টি দেশ থেকে ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র,আফ্রিকা, হংকং, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে এ মেলায়।

এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১০০টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি বহাল রাখবেন। অন্যদিকে আরো রয়েছে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরে রাখবেন দায়িত্বরতরা। সাদা পোশাকেও থাকবেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পুরুষ ও নারীদের জন্য ১২টি স্পটে ২৪টি ব্লকে টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনেরজন্য রাখা হয়েছে ২টি শিশুপার্ক। তাছাড়া মা ও শিশুদের  জন্য রয়েছে দুইটি কেন্দ্র।

মেলায় এসে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য প্রাইমারি একটি হেল্থ সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে দর্শনার্থীরা নিবিঘ্নে আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গন আগামী এক মাস পরিদর্শন ও ইচ্ছামতো কেনাকাটা করতে পারবেন বলে মনে করছে আয়োজক ইপিবি।