ব্যাংকিং সেক্টরের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে টাকার সংকট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক নিয়ে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যমূলক, অপ্রত্যাশিত, অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এটা ব্যাংকিং সেক্টরের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই না। দেশের উন্নয়ন ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যখন ব্যাংকিং সেক্টর এগিয়ে চলছে তখন এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায়, যা কখনো কাম্য হতে পারে না।

মূলত ব্যাংকগুলোর কোনো তারল্য সংকট নেই। প্রতিদিনের কার্যক্রম ও লেনদেন চলছে নিয়মিত, স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে। আমানত, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স প্রভৃতি সূচকে ইতিবাচক ধারা বজায় আছে। এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর শাখা-উপশাখা বা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের কোনো গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে কিংবা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ফেরত এসেছেন বলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যাংকগুলোর আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স আহরণে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানা যায়। তাছাড়া ব্যাংকের তারল্যসূচক সমূহ যেমন- ঋণ আমানত অনুপাত, এল সি আর, এন এস এফ আর, লিভারেজ অনুপাত প্রভৃতির উন্নতি ঘটেছে। অথচ জনমনে এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়ানো হচ্ছে, যা মোটেও সমীচীন নয়।

সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর গ্রাহক সংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ বছরে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য জনবান্ধব আমানত প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়ে চলেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভ্রান্তিমূলক সংবাদে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করে ব্যাংকগুলো।

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে আনতে ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এটি অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশিসহ গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

হাতেগোনা কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অবাস্তব বলে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছে এবং ব্যাংকের সকল সম্মানিত গ্রাহক ও শুভাকাঙ্খীকে এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানিয়েছে। মূলত ব্যাংকগুলোর সকল গ্রাহকের আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিরাপদ।