চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে ব্যবসায় খরচ কমবে ৫ শতাংশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হলে দেশে ব্যবসা করার খরচ অন্তত ৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদেশি উদ্যোক্তাদেরও এ দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়বে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। তাই এখনই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বৃহষ্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে পোর্টস অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী যানের গতি ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই গতি দ্বিগুণ করা গেলে রপ্তানিখাতের প্রতিযোগীতা সক্ষমতা ৬ শতাংশ বাড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা রাসায়নিক খালাসের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা করাতে হয়। অথচ, চট্টগ্রাম কাস্টমসে পর্যাপ্ত পরীক্ষাগার নেই। এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। বন্দরসংক্রান্ত এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বন্দরকেন্দ্রীক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান বের করতে স্ট্যান্ডিং কমিটিকে তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ভবিষ্যতে আরো কিছু বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে। পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারলে, এসব বন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রগতিকে আরো ত্বরান্বিত করা যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি করলে মংলা বন্দরের তুলনায় দ্বিগুন ভাড়া দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোঃ হাবীব উল্লাহ ডন। একই দেশের বিভিন্ন বন্দরে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়ার হার অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ এ.এম. মাহবুব চৌধুরী জানান, গত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফা কয়েকগুণ বেড়েছে। অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা হয়েও, মুনাফার পরিমাণ বাড়াতে আবারো ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্যারিফ না বাড়ানোর আহ্বান জানান কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ পারভেজ সাজ্জাদ আকতার। একই সঙ্গে তিনি জানান, বেশিরভাগ ট্যারিফ ডলারে পরিশোধ করতে হয়। তাই ট্যারিফ বাড়লে, বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ও বাড়বে। তাছাড়া বিদেশি জাহাজ মালিকরাও এ সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ার শঙ্কা তৈরি হবে।

মুক্ত আলোচনায়, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের গতি বাড়াতে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতা আশা করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।