‘নগদ’ প্রধানের পক্ষ থেকে ‘বিকাশ’কে অভিনন্দন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক

দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে চিরচেনা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিকাশ ও ‘নগদ’। সম্প্রতি বিকাশের পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক বেস্ট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ। আর বিকাশের এই অর্জনকে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জনসম্মুখে অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা।

বিজ্ঞাপন

মিশুক তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ভোটের মাধ্যমে বেস্ট ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ বিজয়ী হওয়ায় বিকাশকে অভিনন্দন। প্রতিষ্ঠানটির এই অর্জন আমাকে অনেকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের একটি প্রতিষ্ঠান বেস্ট ব্র্যান্ডের এই পুরস্কার অর্জন প্রমাণ করে যে, দেশের মানুষের জন্য এই সেক্টর কী পরিমাণ অবদান রেখে চলেছে।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘নগদ’ মাত্র তিন বছরে বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করেছে। দেশে প্রথম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে যাত্রা শুরু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এরপর দেশের দ্বিতীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক ‘রকেট’ নামে তাদের এমএফএস সেবা পরিচালনা করছে এবং গ্রাহক সংখ্যায় প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

মিশুক তার ফেসবুক পোস্টে ২০২২-এর পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, ‘আমি জানি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর যতটুক দেওয়ার কথা তার পুরোটা এখনো দিতে পারেনি। আমার মতে ২০২১ শুরু ছিল না, এটি প্রস্তুতি ছিল মাত্র। ২০২২ সালের জন্য প্রস্তুত থাকুন, এ বছর বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের জন্য আরও একটি রোমাঞ্চকর বছর হবে।’

বর্তমানে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। আর ‘নগদ’ সামান্য কিছু কম গ্রাহক নিয়ে বিকাশের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসে ৭০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এবং এই সেক্টরের প্রবৃদ্ধির হার বছরে ৪০ শতাংশ।