বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ ঢাকা চেম্বারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিনদিনব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ-২০২১’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনলাইন কনক্লেভের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিজনসে কনক্লেভ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আন্তঃযোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্প্রসারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে একটি নতুন শাখা স্থাপন করা হয়েছে। এ শাখার মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল ছিল এবং বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দেশের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সরকার গৃহীত পণোদনা প্যাকেজের যথাযথ বাস্তবায়ানের মাধ্যমে মহামারি সময়কালেও দেশের অর্থনীতি কাঙ্খিত মাত্রায় সচল আছে।’

ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি নীতি গ্রহণ করেছে। যেখানে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বৈশ্বিকবাজারে দেশি উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি বাড়াতে, দেশীয় পণ্যের রফতানির বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং তথ্য-প্রযুক্তির আদান-প্রদানের মতো বিষয় বিষয় প্রাধান্য পাবে।’

প্রসঙ্গত, ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এ বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ২২৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা ১৭৬টি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং-এ অংশ নেবেন। যেখানে অ্যাপারেল ও টেক্সটাইল, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাত প্রাধান্য পাবে।