বঙ্গমাতার জন্মদিনে ‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ১,৩০০ দুস্থ নারী

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসেবে ১,৩০০ দুস্থ নারীকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’ এর মাধ্যমে ২,০০০ টাকা করে উপহার প্রদান করেছেন মানানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠান থেকে ৬৪ জেলার এ সকল দুস্থ নারীদেরকে উপহারের অর্থ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুদানের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরো খরচ বহন করেছে দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’। এক্ষেত্রে প্রতিজন দুস্থ নারী তাদের প্রাপ্ত ২,০০০ টাকা ক্যাশ আউট করার চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা করে নিজেদের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। বাড়তি এই খরচও বহন করেছে ‘নগদ’।

বিজ্ঞাপন

দুস্থ নারীর সংখ্যা নির্ধারণ এবং বাছাইয়ের পুরো কাজ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থা।

বঙ্গমাতার জন্মদিনের এমন একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গোটা ‘নগদ’ পরিবার গর্বিত বলে জানান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘নগদ’ সব সময় জন-বান্ধব সব সেবা দিয়ে আসছে। আর সে কারণে অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল অপারেটগুলো খরচের ভয়ে যেখানে সুবিধা বঞ্চিত জনগণের জন্যে সেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী সেখানে ‘নগদ’ সব সময়ই জনহীতকর এসব কাজে সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের এমন অনুসরণীয় কাজের ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে ডিজিটাল আর্থিক সেবার সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে যা সর্বপরি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস।

উপহার প্রদানের অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্র্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাসহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে করোনার কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী; যার মধ্যে ১৭ লাখ পরিবারকেই ‘নগদ’ এর মাধ্যমে অনুদানের অর্থ প্রেরণ করা হয়। সেখানেও ক্যাশ আউট খরচের বড় একটি অংশ ‘নগদ’ বহন করে।

তাছাড়া করোনার মতো এমন অতিমারির সময়েও যাতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য তুলনামূলক কম খরচে চলতে পারে সে জন্যে ‘নগদ’ পাঁচ ধরণের ব্যবসায়ীদের ক্যাশ-আউট চার্জ হাজারে মাত্র ছয় টাকা নির্ধারণ করেছে যা, বাজারে প্রচলিত অন্যান্য অপারেটরের খরচের এক তৃতীয়াংশের চেয়েও কম।

গত বছর ২৬ মার্চ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সেবা হিসেবে ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে একের পর এক নতুন নতুন সেবা চালু করে দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার খাতে একচেটিয়াত্ব ভেঙে বিপ্লব এনে দিয়েছে ‘নগদ’।

https://bit.ly/2XGxzM8