অধ্যাপক আনিসুর রহমানের সঙ্গে তিন বার কথা বলার স্মৃতি
আমি এতদিন এই ইউনিভার্সিটিতে ভাইস চ্যান্সেলরি করছি, এ রকম কথা তো আমাকে কেউ বলে নাই। আনিস সাহেব আপনাকে আমি বিশেষ অনুরোধ করছি একদিন এসে আমার ঘরে সারা দিন বসে থাকেন দেখবেন কত রকমের দাবি আর তদবিরের জন্য শিক্ষকরা আসতে থাকেন, কই ছুটির দিনে লাইব্রেরি খোলা চান এ রকম দাবি তো কেউ করতে আসেন না...
৯২ বছর বয়সে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক এবং সংগীতশিল্পী আনিসুর রহমান প্রয়াত হয়েছেন। ১২ বছর আগে আমি সবশুদ্ধ তিনবার তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, তিনবারই আমাকে নিয়ে তার বাসায় গিয়েছেন তারই স্নেহভাজন ডেইলি স্টারের ‘ক্রসটক’ কলামখ্যাত, এখন প্রয়াত মোহাম্মদ বদরুল আহসান। আমার যাওয়াটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- যতটা তার কাছ থেকে হরণ করা যায়। বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে আগেই তার লেখালেখির সঙ্গে যতটা সম্ভব পরিচিতি অর্জন করে প্রথম দিন কেবল রবীন্দ্রসংগীত নিয়েই কথা বলেছি; ঠিক বলেছি এমন নয়, শুনেছি। আরও শোনার জন্য যতটা উসকে দেওয়া যায় ততটাই বলেছি। তিনি নিজ থেকে যখন আবার আসতে বললেন, আমি বললাম, এরপর যেদিন আসব আপনার পরিকল্পনা কমিশনের অভিজ্ঞতা শুনব। দ্বিতীয় দিন তিনি যা বললেন, তা মোটেও পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চিফ অধ্যাপক নুরুল ইসলামের আমলাবিরোধী বিষোদগার নয়, তিনি বলেছেন, দ্যাট ওয়াজ নট মাই কাপ অব টি। সরকারই আমাকে ধারণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল না।
তিনি আবারও আসতে বললেন। তৃতীয় সাক্ষাতের দিন তিনি বললেন, গায়ে একটু জ্বরজ্বর ভাব রয়েছে, তবু অসুবিধে নেই, কথা বলা যাবে। আমি বদরুল আহসানকে আগেই বলেছি, তৃতীয় দিন আমি মুক্তিযুদ্ধকালের বাংলাদেশের প্রধান নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ প্রসঙ্গটা তুলব। বদরুল বললেন, লাভ নেই, সম্ভবত বেশি কিছু বলবেন না। আমি জিজ্ঞেস করেছি, মুখ খোলেননি। কিন্তু আমার প্রশ্নের অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হলেও স্মরণ রাখার মতো একটি জবাব দিলেন।
তিনি যা বললেন তা অনেকটা এ রকম: তাজউদ্দীনকন্যা রিমি আমাকে বলল, তাদের আয়োজিত ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় তাকে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেছেন, যে অনুষ্ঠানে হত্যাকারীদেরই স্বজন ও চেলাচামুন্ডারা থাকবে, তিনি তাদের সঙ্গে এক সারিতে বসতে চান না। তার পরও রিমির উপর্যুপরি অনুরোধে এই শর্তে অংশ নিতে রাজি হলেন যে, তিনি সবার আগে বলবেন এবং বলেই অসুস্থতার দোহাই দিয়ে কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করবেন। সেদিন তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেছিলেন: কোনো সন্দেহ নেই ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ তাজউদ্দীন আহমদের শারীরিক মৃত্যু হয়েছে, বাস্তবে তাকে হত্যা করা হয় আরও আগে ২৬ অক্টোবর ১৯৭৪, যেদিন তাকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
অত্যন্ত ইঙ্গিতধর্মী একটি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি মঞ্চ ছেড়ে বাসায় ফিরে আসেন। আনিসুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অনার্স হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় বাংলা ও ইংরেজির শিক্ষকদের দৃষ্টি বেশি আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন। কিন্তু রুজি-রোজগারে সুবিধে হবে মনে করে বাবা চাইলেন ছেলেও তার মতো অর্থনীতি পড়ুক। অনিচ্ছুক ছাত্র থার্ড ইয়ারে একবার ড্রপ দিয়েও শেষ পর্যন্ত অনার্স ও মাস্টার দুটো প্রথম শ্রেণির প্রথম স্থান নিয়ে ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে লেকচারার পদে যোগ দিলেন। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে ১৯৫৯ সালে পিএইচডি করতে চলে গেলেন হার্ভার্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হার্ভার্ড যাওয়া যেন গ্রাম থেকে শহরে আসা।
পিএইচডি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলেন বটে, কিন্তু ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি ছেড়ে ঢাকাও ছাড়লেন। উসমান গণি যুগের পর ভিসি পরিবর্তনের হলে সত্তরে পুনরায় যোগ দিলেন। রমজানের ছুটি, লাইব্রেরি বন্ধ। কিন্তু উপাচার্যের অফিস খোলা। উপাচার্য জাস্টিস আবু সাঈদ চৌধুরী কাজ করছেন। আনিসুর রহমান বিনা অনুমতিতে ঝড়ের বেগে তার অফিসে ঢুকে পড়লেন।
‘স্যার, এই যে আপনি বসে কাজ করছেন আর আমি কাজ করতে পারছি না।’
উপাচার্য অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কী বললেন?’
আমি তখন বুঝিয়ে বললাম, স্যার লাইব্রেরি বন্ধ, আমি আমার কাজ করতে পারছি না আর আপনি তো আপনার কাজ করে যাচ্ছেন।
উপাচার্য এবার যেন ফ্যাল ফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে একটু বসবেন।
আমি বসলে তিনি বললেন, ‘আপনি একটু আগে যে কথাটা বললেন, সেই কথাটা আবার বলবেন কি?’
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। একটু থতমত খেয়ে কথাটা আবার বললাম। উপাচার্য তখন আমাকে বললেন, ‘আমি এতদিন এই ইউনিভার্সিটিতে ভাইস চ্যান্সেলরি করছি, এ রকম কথা তো আমাকে কেউ বলে নাই। আনিস সাহেব আপনাকে আমি বিশেষ অনুরোধ করছি একদিন এসে আমার ঘরে সারা দিন বসে থাকেন দেখবেন কত রকমের দাবি আর তদবিরের জন্য শিক্ষকরা আসতে থাকেন, কই ছুটির দিনে লাইব্রেরি খোলা চান এ রকম দাবি তো কেউ করতে আসেন না।’
উপাচার্য স্কেলিটন স্টাফ রেখে ছুটিতে লাইব্রেরি খোলা রাখার বন্দোবস্ত করেছিলেন।
অর্থনীতিতে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া বাবার ছেলে অনার্স ফাইনালের থার্ড পেপার পরীক্ষা দিতে গিয়ে টের পেলেন ফার্স্ট ক্লাস মানের উত্তর লিখতে পারছেন না, সুতরাং পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখেই এক সময় বেরিয়ে এলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন অর্থনীতি আর নয়, সাংবাদিকতা করবেন। নিজের সৃষ্টি করা বিব্রতদশা এড়াতে বাড়ি ছেড়ে তার সুহৃদ শিল্পী কামরুল হাসানের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। চাচা এসে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন, আব্বা বললেন, টেক ইট ইজি। আর তিনি নিজে দৈনিক সংবাদ-এ মাসিক ৭৫ টাকা বেতনের অ্যাপ্রেন্টিসের চাকরি নিলেন। তিন মাস বাংলা সংবাদপত্রে কাজ করার পর শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনে বিনে মাইনেতে পাকিস্তান অবজার্ভার-এ অ্যাপ্রেন্টিসশিপ শুরু করলেন।
সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার গড়তেও একটা যেনতেন গ্র্যাজুয়েশন দরকার। জগন্নাথ কলেজ টার্গেট করলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ছাত্র সেখানে ‘ওভার কোয়ালিফায়েড’ বলে অনানুষ্ঠানিকভাবে বাদ পড়লেন। মাঝখানে কিছুদিন রবীন্দ্রসংগীত চর্চা, আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলেন এবং নতুন থার্ড ইয়ার অনার্স ব্যাচের শেখ মাকসুদ আলী (পরে সিএসপি ও সচিব) জাহানারা হক ও আমিনা বেগমের সঙ্গে গ্রুপ করে পরীক্ষার পড়া ঝালাই করলেন, হারমোনিয়ামে গান তুললেন এবং এম এ পরীক্ষা দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হলেন। এর মধ্যে ১৯৫৪ সালের ফজলুল হক হল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ভিপি পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে তার প্যানেলের সদস্যদের নিয়ে পাস করলেন। ১৯৫৭-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচার পদে যোগ দিলেন আর ১৯৫৯ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে হার্ভার্ড বিশ্বদ্যিালয়ে পিএইচডি করতে চলে গেলেন।
ফিরে এসে কিছুকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা নিয়ে থাকলেও ষাটের দশকের ক্ষমতাধর ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান না হয়ে পদত্যাগ করে চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলুর ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে আমন্ত্রিত ভিজিটিং স্কলার হয়ে। বিভাগীয় প্রধান ড. এম এন হুদার বাইরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পদটি খালি হলে জ্যেষ্ঠতার প্রশ্নে অধ্যাপক আবু মাহমুদেরই সে পদ অধিকার করার কথা, কিন্তু সুপরিচিত মার্কসবাদী হওয়ার কারণে ভিসি তাকে চাচ্ছেন না, তাকে ডিঙিয়ে আনিসুর রহমানকেই প্রধান হতে হবে। আনিসুর রহমানও তার শিক্ষককে ডিঙাতে চাচ্ছেন না, বরং এই বিরোধে দূরে চলে যাওয়াটা উত্তম মনে করলেন। আনিসুর রহমান তার দেশ ছাড়ার দিনক্ষণ কাউকে বলেননি। তবুও তেজগাঁও এয়ারপোর্টে সবিস্ময়ে দেখলেন আবু মাহমুদ তার বিপ্লবী ছাত্র মাহবুবউল্লাহকে নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন, তাকে বিদায় জানাতেই এসেছেন।
মা ওস্তাদ রেখে বাসায় গান শিখতেন। বড় বোনও শিখতেন, সেতারও শিখেছেন। মায়ের খালাতো বোন ফিরোজা বেগম বিখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী। গান পড়াশোনা থেকে মন সরিয়ে দিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তার গানের ঝোঁকটাকে বাবা-মা উসকে দেননি। কিন্তু বাসায় যে গানই হতো সেগুলো ‘গিলতেন’ এবং একা একা সুর ভাঁজতেন। তার টান ছিল রবীন্দ্রসংগীতের দিকেই। বাবা-মায়ের অজান্তে ফিরু খালা- ফিরোজা বেগমের বাসা নবাবপুরের ভেতরবাড়ি লেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আসা-যাওয়া শুরু করেন। ‘তিন তলার ঘরে ওস্তাদের কাছে বা একা একা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গান শিখতেন বা রেওয়াজ করতেন, আমি কাঙালের মতো সামনে বসে হাঁ করে সব গিলতাম।
জানালা দিয়ে বর্ষা এসে তাকে ভিজিয়ে দিত, কিছুটা আমাকেও তিনি শিখিয়ে যেতেন। একদিন অনেকক্ষণ গান করে হঠাৎ থেমে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ‘একটা গান শিখবে?’ আমাকে আর পায় কে? বললাম, ‘হ্যা’। তখন শেখালেন রবীন্দ্রনাথের ‘আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা।’ আমার ওটাই প্রথম একটা গান সম্পূর্ণ করে শেখা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় হলের সংগীত প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে বিপদে পড়ে যান। যারা তাকে হলের ভিপি বানাতে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়েছেন, তারা মনে করেন গানবাজনা ভিপির মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়। ‘ভিপি সাহেব আপনি না গাইলেই ভালো।’ তবুও তিনি গাইলেন, দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে তব মঙ্গল-আলোক/ তবে তাই হোক।
দেবব্রত বিশ্বাস মানে সবার জর্জ দা ঢাকায় এসে কলিম শরাফীর বাসায় উঠলেন। দুজন একসঙ্গে গান করেন কলিম শরাফী তার কাছ থেকে গান তুলে নেন। ‘আমি সেখানে গিয়ে সতৃষ্ণ নয়নে বসে থাকতাম এবং মাঝে মাঝে জর্জ দা যখন কলিম ভাইকে শেখাচ্ছেন আমি অনুমতি না নিয়েই গলা মিলিয়ে দিতাম। একদিন গানের মাঝখানে জর্জ দা হঠাৎ থেমে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনার পঞ্চমটা বেসুরো আসে, সাইধ্যা ঠিক কইরা নেন। তার পর একটু থেমে বললেন গলাটা ভালো। আমাকে আর পায় কে। দেবব্রত বিশ্বাস বলেছেন, আমার গলাটা ভালো, বেসুরো পঞ্চম হলে কী হবে, ওটা তো ঘষামজার ব্যাপার। আমার উৎসাহ আকাশে উড়ে চলল।
তিনি রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে থাকলেন, সুফিয়া কামাল শুনতে চান ‘তোমার পূজার ছলে তোমার ভুলেই থাকি’ কিংবা ‘মধুর তোমার শেষ যেন পাই’। ১৯৬৫ সালে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রবীন্দ্রসংগীতের আসর বসান, পাছে সরকারের দালালদের কেউ না আবার শুনে ফেলে এবং রিপোর্ট করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি তো নিজেই ছেড়েছেন। ১৯৬৭-তে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি অধ্যাপক পদে যোগ দেন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এমএ ক্লাসে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদেরই জয়জয়কার। প্রথম বছরের সেরা ছাত্র ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরের বছরের সেরা সিদ্দিকুর রহমান ওসমানী।
সে সময় করাচির পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে কর্মরত তিন বাঙালি অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, এ আর খান এবং স্বদেশ বোসের সঙ্গে আনিসুর রহমানেরও যুক্ত হওয়ার সুযোগ হলো, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অর্জনের দাবিতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের ষড়যন্ত্র বেশ প্রাণ পেল।
লেখক: নন ফিকশন ও কলাম লেখক
(আগামীকাল সমাপ্য)