ব্রিটেন: কিয়ার স্টারমার ইন, ঋষি আউট, অতঃপর?

  • ড. মাহফুজ পারভেজ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটেন: কিয়ার স্টারমার ইন, ঋষি আউট, অতঃপর?

ব্রিটেন: কিয়ার স্টারমার ইন, ঋষি আউট, অতঃপর?

ব্রিটেনের নির্বাচনে যে অভাবনীয় জনমত প্রতিফলিত হয়েছে, তা মোটেও আকস্মিক বা আশ্চর্যজনক নয়। ভোট সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণদের বিশ্লেষণে আগেই এমন আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে চলেছে। সর্বমহল থেকে বলা হচ্ছিল, দেশে ও বিদেশে সরকারের কাজে ক্ষুব্ধ জনতা। সবাই একটা পরিবর্তনের প্রত্যাশায় আছেন। ভোটের বাক্সে তার প্রকাশ ঘটে। ক্ষমতাসীন দলও সেটা নত মস্তকে মেনে নিয়েছে। তবে ফলাফল যে এমন বিপুল পার্থক্য নিয়ে আসবে এবং ব্রিটেনের রাজনীতিতে লেবার পার্টির বিরাট উত্থান ঘটাবে, তা কেউ ভাবেন নি।

সংসদীয় গণতন্ত্রে তীর্থভূমি ব্রিটেনের সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট: হাউস অফ লর্ডস (উচ্চকক্ষ) ও হাউস অফ কমন্স (নিম্নকক্ষ)। উচ্চকক্ষের ক্ষমতা কেবল আইন প্রণয়নকে কিছুটা বিলম্ব করার মধ্যে সীমিত। সুতরাং নিম্নকক্ষের কাছে সংসদের প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা ‘হাউস অব কমন্স’-এ মোট আসন ৬৫০। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৩২৬। লেবার পার্টি এ বার ৪১০-এর বেশি আসন পেয়ে ইতি টানল ১৪ বছরের কনজ়ারভেটিভ শাসনে।

বিজ্ঞাপন

ক্ষমতাসীন কনজ়ারভেটিভরা নির্বাচনে কেন এতোটাই খারাপ করলো? এই প্রশ্ন বিশ্লেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। ব্রিটেনের প্রায়-সম-ক্ষমতার দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় কনজ়ারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যে সমানে সমানে লড়াই চলে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কনজ়ারভেটিভরা কোনো ক্রমে দখলে রাখতে পারল মাত্র ১২১টি আসন। কেন এমন হলো? সংখ্যাটি ক্ষমতা থেকে বহু দূরের শুধু নয়, জনগণের সমর্থনের দিক থেকেও প্রান্তিক। ব্রিটেনের মতো একটি রক্ষণশীল দেশে কনজ়ারভেটিভ বা রক্ষণশীলরা এতো নাজুক পরিস্থিতিতে আগে খুব কমই পড়েছে। যে কারণে এবারের নির্বাচনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে সরকারি আবাস ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হয়েছে এমন একটি অসহায় অবস্থায়, যেখানে তার দল কনজ়ারভেটিভ পার্টিকে (টোরি) কার্যত নাস্তানাবুদ করে ব্রিটিশ ক্ষমতার লাগাম হাতে নিল লেবার পার্টি।

বিশ্বব্যাপী যখন কর্তৃত্ববাদ ও যুদ্ধবাজদের উত্থান হচ্ছে, তখন ব্রিটেনে অপেক্ষাকৃত উদার ও বামঘেষাঁ লেবার পার্টির ক্ষমতায় আরোহণ চাঞ্চল্যকরই বটে। তবে এজন্য কনজ়ারভেটিভ পার্টির শাসন নীতির ব্যর্থতা বহুলাংশে দায়ী, যা ব্রিটেনের জনমতকে বিরাট আকারে প্রভাবিত করেছে লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে। মূলত ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময় থেকে ব্রিটেনের ভঙ্গুর অর্থনীতি, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দেশের প্রখ্যাত জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস)-র ব্যাপক অবনতি, অভিবাসন সমস্যা-সহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ জনগণ সরকারের প্রতি বিরক্ত ছিলেন। সেসব ক্ষোভের কথা তারা প্রকাশ্যেই ও খোলামেলা ভাবেই জনমত সমীক্ষাগুলোতে বলেছেন। সরকারের নীতিতে গতিহীনতার বিরুদ্ধেও তাদের আপত্তি ছিল। অনেকেই প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বে কনজ়ারভেটিভ পার্টির সরকারকে স্থবির বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বেশি আপত্তি এসেছে কনজ়ারভেটিভ পার্টি বা টোরিদের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামোর বিরুদ্ধে। গত পাঁচ বছর ধরে টোরিদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, তিন বার প্রধানমন্ত্রী বদল ইত্যাদিও প্রভাবিত করেছে এ বারের ভোটকে। ঐতিহ্যগতভাবে ব্রিটিশরা স্থায়ীত্ব ও ধারাবাহিকতায় আস্থাশীল। কনজ়ারভেটিভ পার্টির পক্ষে তেমন আশার আলো দেখানো সম্ভব হয়নি। তাদের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বার বার প্রধানমন্ত্রী বদলের ফলে দেশে যে দোদুল্যমান শাসন কায়েম হয়েছিল, জনতা তা পছন্দ করেনি।

জনতার বিরক্ত হওয়ার কারণও সঙ্গত। গণতন্ত্র বৈপ্লবিক পন্থার বদলে স্থায়ীত্বকে নীতি হিসাবে মেনে নেয়। কনজ়ারভেটিভ পার্টি ব্রিটেনে স্থায়ী সরকার দিতে পারেনি। কনজ়ারভেটিভ পার্টি দেশ শাসনে স্থিতিশীলতাও প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কারণ, লিজ় ট্রাস-এর ৪৯ দিনের বিশৃঙ্খলাময় শাসনের শেষে ২০২২ সালের অক্টোবরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। সকলের আশা ছিল, পূর্বসূরিদের টালমাটাল নেতৃত্বের পরে দল তথা দেশের রাজনীতিতে স্থিতি আনতে সক্ষম হবেন তিনি। তার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির কিছুটা উন্নতিও হয়। ১১ শতাংশের মূল্যবৃদ্ধির হারকে তিনি ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।

কিন্তু কিছু উন্নতি সত্ত্বেও, ব্রেক্সিট-পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কট, কোভিড মহামারির ধাক্কা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে দেশের ব্রিটেন দুরবস্থা দাঁড়িয়েছিল, তাতে বিশেষ নিরাময় ঘটাতে পারেন নি ঋষি সুনক। মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি শুল্ক বৃদ্ধি, বাসস্থানের ঘাটতির মতো সমস্যা দুর্ভোগ বাড়িয়েছে ব্রিটিশ জনসাধারণের। সামাজিক কল্যাণের অনেকগুলো খাতেই রাশ টানতে হয়েছিল সরকারকে। যা জনতার উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এর প্রভাব দেখা যায় নির্বাচনে কনজ়ারভেটিভ পার্টির ভরাডুরির মাধ্যমে।

পাঁচ বছর আগে কনজ়ারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল। ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ স্লোগানে ভর করে ‘হাউস অফ কমন্‌স’-এর ৩৬৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিডবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর লিজ় ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন ঋষি।

অন্য দিকে, অভিবাসন নিয়ে টোরি সরকারের কার্যকলাপ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দেশের নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে হওয়ার কথা হলেও, বিরোধীদের বিপাকে ফেলতে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন করার পদক্ষেপ নেন সুনক। কিন্তু তার এই রাজনৈতিক চাল দলকে রক্ষা করার বদলে কনজ়ারভেটিভদের আরো সঙ্কটে ফেলে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ভোট প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারেই এ বার মন দেবেন। লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চাকরিরতদের জন্য শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে না, আয়কর, জাতীয় বিমা বা ভ্যাট-এর প্রাথমিক, উচ্চ বা বাড়তি হারে কোনো বৃদ্ধি করা হবে না। এসবই সামাজিক কল্যাণ বা সোস্যাল ওয়েলফেরার সম্পর্কীত তথা জনকল্যাণ বিষয়ক। তার বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে আশা জাগিয়ে তাদের ভোটকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

কিয়ার স্টারমার দাবি করেছেন, মানুষের কষ্ট লাঘব করতে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, কাজের সময়ের বাইরে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করেন তার জন্য দেওয়া হবে উৎসাহ ভাতা। সুনকের অভিবাসন নীতিও বর্জন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলা যায়, কনজ়ারভেটিভ পার্টির নীতির অনেক কিছুই লেবার পার্টির নতুন নেতা সংস্কার করবেন। এ বারের নির্বাচনী প্রচারে কিয়ার স্টারমারের দল একাধিক বিষয় তুলে ধরেছে। তাদের ইস্তাহারে শিক্ষক নিয়োগ, নারী-শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়া, স্থিতিশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা-সহ একাধিক বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ ভোটারদের তাদের পক্ষে প্রণোদিত করেছে।

তবে, চোদ্দো বছর পর ক্ষমতায় এসে লেবার পার্টির সামনে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ— যে সব প্রতিশ্রুতি তারা দিচ্ছেন, তা পালন করা বর্তমান পরিস্থিতিতে সহজসাধ্য হবে কিনা? বিশ্ব পরিস্থিতি ও ইউরোপীয় বাস্তবতায় অনেক সমস্যাই তাদের মোকাবেলা করতে হবে। তাদেরকে নতুন পথ তৈরি করে চলতে হবে। যে পথ বাস্তবিকই কঠিন। ঋষির শাসনকালে একাধিক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় ব্রিটেন। সে সব কাটলেও জনমত অন্য কথা বলছিল। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাসকে সত্যি প্রমাণ করে বড় জয় পেল লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হলেন কিয়ার স্টারমার। লেবার পার্টির বিপুল জয়ের পর সমর্থকদের উদ্দেশে তার বার্তা, ‘‘পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে আজ থেকেই।’’

এ বারের ব্রিটেনের ভোটে মূলত লড়াই ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার মধ্যে। সেখানেই ঋষির দলকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন কিয়ার। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনিই। ৬১ বছর বয়সি রাজনীতিবিদ কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হলেও তাকে প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। বর্তমানে দেশ যে যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাকে।

১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন কিয়ার স্টারমার। বেড়ে উঠেছেন সারের অক্সটেডে। পড়াশোনা শেষে আইনজীবী হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। তার পরই রাজনীতিতে প্রবেশ। তার বাবা ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আর মা ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নার্স হিসাবে কাজ করতেন। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি খুবই মনযোগী ছিলেন স্টার্মার। তবে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্রজীবনেই। প্রথমে লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কিয়ার স্টারমার।

পরিবারে তিনিই প্রথম যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। ১৬ বছর বয়সেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। লেবার পার্টি ইয়ং সোশ্যালিস্টে যোগ দেন তিনি। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী হয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে একজন ব্যারিস্টার হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। মানবাধিকার ব্যারিস্টার হিসাবে কর্মজীবনে সাফল্যও লাভ করেন তিনি। ২০০২ সালে কুইন্স কাউন্সেল হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ড পুলিশিং বোর্ডের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন স্টার্মার। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টরও ছিলেন তিনি। সেই সময়কালে স্টিফেন লরেন্স হত্যার মতো মামলা সামলেছেন তিনি। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৪ সালে রানি এলিজ়াবেথের থেকে ‘নাইট’ উপাধি পান তিনি।

তবে নামের আগে ‘স্যার’ উপাধি খুবই কম ব্যবহার করতে দেখা যায় তাকে। তার পরের বছরই সাংসদ হন তিনি। লন্ডনের হলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস আসন থেকে লেবার পার্টির সাংসদ হয়ে আবার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হওয়ার মাস কয়েক পরেই মাকে হারান। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। তথাপি তিনি লেবার পার্টিতে নিজের অবস্থান মজবুত করেন। ২০২০ সালে লেবার নেতৃত্বের ভোটে বিপুল জয় পান তিনি। তার পরই দলের রাশ চলে আসে তার হাতে। তার বক্তৃতায় বার বার উঠে এসেছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভিত্তিতে বিশ্বের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা।

দুই সন্তানের পিতা স্টারমার। ২০০৭ সালে তার প্রেমিকা ভিক্টোরিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। ভিক্টোরিয়াও স্টার্মারের মায়ের মতো পেশায় নার্স। যুক্ত রয়েছেন ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিসের সঙ্গে। পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মতো তিনি তরুণ ঋষি সুনককে উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তার নেতৃত্বে ব্রিটেন স্বদেশে কতোটা স্থিতিশীল আর বিশ্বে শাক্তিশালী হতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।

ড. মাহফুজ পারভেজ: অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।