সাধারণ আনসারে যোগ দিন, নিরাপত্তা সেবায় অংশ নিন
সাধারণ আনসার হিসেবে বাছাইয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি শুধু পুরুষ প্রার্থীদের বাছাইয়ের জন্য এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে। সারা দেশে রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী রেঞ্জে প্রার্থী বাছাই করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ১০ সপ্তাহব্যাপি সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। আনসার ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীদের ন্যূনতম জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে। শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ ৩০/৩২ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারী ভিডিপি/টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ ও আনসার ভিডিপি কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সুযোগ-সুবিধা: প্রশিক্ষণ শেষে সমতল এলাকায় মাসিক ১৩ হাজার ৫০ টাকা এবং পার্বত্য এলাকায় ১৪ হাজার ২০০ টাকা ভাতা পাবেন। প্রতিবছর দুটি উৎসব ভাতা ৯ হাজার ৭৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। দুটি ইউনিট রেশন ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করা হবে। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পাঁচ লাখ টাকা এবং স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণ করলে দুই লাখ টাকা অর্থসহায়তা দেওয়া হবে।
আবেদন পদ্ধতি: প্রার্থীদের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওয়েবসাইটে (www.ansarvdp.gov.bd) ‘সাধারণ আনসার (পুরুষ) মৌলিক প্রশিক্ষণের আবেদন’ লিংকে ক্লিক করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদন চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইন নিবন্ধন ফি বাবদ ২০০ টাকা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, চারিত্রিক সনদপত্রের মূল কপি, নাগরিকত্ব সনদ, অনলাইন নিবন্ধনের সময় দেওয়া প্রবেশপত্রের মূল কপি, সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং প্রার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম, পেনসিল, স্কেল, ক্লিপবোর্ড সঙ্গে আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৫০ হাজার ৪৯ জন প্রশিক্ষিত সাধারণ আনসার সদস্য ৪ হাজার ৭৭৭টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এসব আনসার সদস্য বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, পাওয়ার স্টেশন, কেপিআই, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মহানগরীতে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, রেল, নৌ ও অন্যান্য সরকারি–বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছেন।