সম্মতি নিয়ে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব না দেওয়ায় উপাচার্যের ব্যাখ্যা চান কুবি শিক্ষক

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষককে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার পরিচয় দিয়ে তার থেকে সম্মতি নেওয়ার পর অন্য আরেকজন শিক্ষককে প্রাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। একই সাথে এ ঘটনা তার জন্য অপমানজনক বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বরাবর দেওয়া ড. কামরুন নাহারের এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম ড. কামরুন নাহার। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন।

চিঠিতে ড. কামরুন নাহার উল্লেখ করেন, 'গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় আমাকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পরিচয় দিয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার ফোন করেন এবং শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট হিসেবে আমাকে নিয়োগের বিষয়ে মতামত জানতে চান। রেজিস্ট্রার পরিচয়ে ফোন করায় আমি নিশ্চিত হই যে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত এবং আমি এতে সম্মতি প্রদান করি। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর জানতে পারি উক্ত পদে মোসা: শাহীনুর বেগম (সহকারী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। আমাকে প্রস্তাব দিয়ে, আমার সম্মতি নিয়ে আমার স্থানে অন্য কাউকে কেন নিযুক্ত করা হলো তার স্পষ্ট ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাশা করছি। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।'

এ ব্যাপারে ড. কামরুন নাহার বলেন, ‘আমি চিঠিতে সবকিছু উল্লেখ করেছি। নতুন করে কিছু বলার নেই।’

মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমরা প্রশাসন থেকে এই ব্যাপারে কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। কথা বলা মানেই দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া নয়। আমরা আগ্রহের ব্যাপারটি দেখার জন্য জিজ্ঞাসা করেছিলাম। জিজ্ঞাসা করা মানেই দিয়ে দেওয়া নয়। উনি বাদেও আরো কয়েকজন শিক্ষককে একইরকমভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।’