বেরোবিতে সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করলেন উপদেষ্টা নাহিদ

  • বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় আলোচনা সভায় তিনি এই সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বেরোবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় এই মঞ্চ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপাতি। অন্যদিকে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান গত ১৩ই আগস্ট কালের কন্ঠে একটি কলাম লিখেছিলেন সেখানে তিনি একটি লাইন লিখেন 'আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পরেও পরিস্থিতি সামলানোর পার্যায়ে ছিল’। এই দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সম্মাননা প্রদান করায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

এসময় তিনি বলেন, যে মঞ্চ থেকে আওয়মী লীগের দোসরা সম্মাননা স্মারক নিয়েছেন সেই একই মঞ্চ থেকে আমি সম্মাননা স্মারক নিচ্ছি না। হয়তো কোন একদিন ফ্যাসিবাদ মুক্ত বেরোবিতে আসবো এবং প্রকৃত সম্মাননা নিব। এছাড়া তিনি বেরোবি উপাচার্যকে এসব বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেন।

এইদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমার সেই কলামটি শিরোনাম ছিল "আবু সাঈদ যখন রাজনীতিবিদদের শিক্ষক"। আমি শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলাম। ফেসবুকে লেখালেখি করেছিলাম। তারপরও যেহেতু আজ আমার কলামের একটা লাইন নিয়ে আমার দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। তাই আমাকে যে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে সেটি আমি শিক্ষার্থীদের মতকে সম্মান জানিয়ে সারেন্ডার করলাম।

এই বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.শওকাত আলী বলেন, আমি এসেছি এখনো একমাসও হয়নি। আমাকে তো মানুষগুলো চিনতে হবে। আমি সবকিছু শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পদক্ষেপ নিই। আর আমি তো মানুষগুলোকে বলতে পারি না আপনারা পদ থেকে সরে যান। আমাকে সময় দেন ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।