খুব ধীরে খুব নির্মম নিষ্ঠায় চিরে চিরে যাও

  • বদরে মুনীর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ: আনিসুজ্জামান সোহেল

অলঙ্করণ: আনিসুজ্জামান সোহেল

অবসর

ব্যস্ততা ক্ষুধার্ত জন্তু, উপরন্তু, হিংস্রতাও জানে;
সাবধানে খাওয়াতে হয়, নিরাপদ দূরত্বে সতর্ক থাকা শ্রেয়।

বিজ্ঞাপন

তোমার জাদুর বলে কত পশুপাখি পোষ মানে—
সে কিন্তু মানেনি মাত্রা; সে কিন্তু অমেয়
থেকে গেছে;—মনে মনে উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্নের জাতক!

ব্যস্ততা বনের পাখি, উড়ে গেলে, অবসর তোমার ঘাতক।

লাশ কাটার গান

বিজ্ঞাপন

এইখানে এই কপালের মাঝামাঝি
তাক ক’রে ধরো অনুসন্ধানী ছেনি,
অবিকল হানো তোমার হ্যামার ঘাতকের অভিলাষে
দেখো কী দারুণ খুলে যায় সাবলীল
খুলির কপাট, আহা কি রঙিন জাল,
লাল-লাল আর গোলাপি-গোলাপি মগজের উদ্যান—
খুঁজে দেখো যদি সেই ফুল পাও, সেই ফুল সেই ভুল!
পাওনি কিছুই? এইবার ধরো ছুরি,
খুব ধীরে খুব নির্মম নিষ্ঠায়
চিরে চিরে যাও, নৌকা যেমন বুকজল, গলাজল...
পাঁজরের হাড় একে একে দেখো খুলে—
চুপসানো এক বেলুনের কঙ্কাল
গুঁজে আছে মুখ শিরা-ধমনীর স্থির পরা-বিন্যাসে,
যদি খুঁজে পাও সেই ভুল সেই বিস্মরণের মূল!
পেলে না কিছুই? দেখো তবে পদতলে—
ভ্রমণের গ্লানি ক্ষত হয়ে জমে আছে
দুই পায়ে দুই মেরুর সমান বল্কল-ভাঙা শীতে;
সেই শীত, সেই শীতার্ত রাত্রির
বুক খুঁড়ে তুমি খুঁজে পাবে সন্তাপ,
আর কিছু নয়, আর কিছু নয়, কোথাও কিচ্ছু নাই।
একটি তৃষ্ণা জ্ব’লে যায় শুধু অনিকেত, উন্মূল!

পতন, ভেতরে আসো

পতন, বেড়াতে এসো, পাপের অনতি নিচে শুয়ে থাকি আমি।
পতন, ভেতরে আসো, আমি হ’তে চাই নিম্নগামী;
পতন, তুমি ব্যতীত, নক্ষত্রেরা নিরুপায়, কানা—
পতন, তোমাকে ছাড়া, বৃথা সব কলরব, সকলই অজানা...
পতন, তুমি তো দেখছি, উত্থানের চেয়েও হারামি!