কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

বিজ্ঞাপন

চ্যানেল আইয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হাবিবুল হুদা পিটু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

রাবেয়া খাতুন এর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তার মামার বাড়িতে। তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে। ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক, বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সঙ্গে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।

এ কথাসাহিত্যিকের চার সন্তান- ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রন্ধন বিশেষজ্ঞ কেকা ফেরদৌসি, স্থপতি ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

রাবেয়া খাতুন রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মেঘের পর মেঘ’ অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘মেঘের পরে মেঘ’ এবং ২০১১ সালে তার আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মধুমতি’ অবলম্বনে পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী ‘মধুমতি’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এছাড়াও অভিনেত্রী মৌসুমী ২০০৩ সালে তার লেখা ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

লেখালেখির জন্যে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। তার মধ্যে আছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৭৩, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার -১৯৮৯, একুশে পদক-১৯৯৩,বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ -১৯৯৪, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক-১৯৯৫,জসিমউদ্দিন পুরস্কার-১৯৯৬, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক-১৯৯৬, শাপলা দোয়েল পুরস্কার-১৯৯৬, টেনাশিনাস পুরস্কার -১৯৯৭, ঋষিজ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার-১৯৯৮, লায়লা সামাদ পুরস্কার -১৯৯৯, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৯, মিলেনিয়াম এ্যাওয়ার্ড -২০০০, টেলিভিশন রিপোটার্স এ্যাওয়ার্ড -২০০১, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স এ্যাওয়ার্ড -২০০২, শেলটেক পদক- ২০০২ এবং মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার-২০০৫ ইত্যাদি।

বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মহল।