২০১৯-২০ অর্থবছরে কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য কত বরাদ্দ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৪২ হাজার ৪৭৮ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মুঞ্জরি ও বরাদ্দ রেখে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৯ সংসদে পাস হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত এ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পারবে। এর মধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়যুক্ত ব্যয় নির্ধারণ করা আছে।

রোববার (৩০ জুন) বিকালে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবিগুলো সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বছর ৫৯টি মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবির উপর ৪৮৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দাবির উপর আলোচনা হয়। যে চারটি মন্ত্রণালয় বিভাগের দাবিগুলোর উপর আলোচনা হয় সেগুলো হচ্ছে- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এসব দাবির বিপক্ষে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান, রওশন আরা মান্না, বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন। এরপর তাদের ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে অর্থ বিভাগ (অর্থ বিভাগ ৮১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা), সর্বনিম্ন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা দাবিগুলো উত্থাপনের পর দুই একজন সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দিলেও সংসদ তা গ্রহণ করেনি। এরপর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন অর্থবছরের জন্য (নিদির্ষ্টকরণ বিল, ২০১৯) উত্থাপন করেন। পরে বিলটি সংসদে ভোটে দিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য কত বরাদ্দ:

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, জাতীয় সংসদ ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তিন হাজার ৫২৮ কোটি ৭৩ লাখ ২১ হাজার টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৪১ কোটি টাকা, সুপ্রিম কোর্ট বিভাগ ১৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক হাজার ১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশনে দায়যুক্ত ব্যয় দাঁড়াবে এক হাজার ৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৯৪১ কোটি ছয় লাখ টাকা, সরকারি কর্ম কমিশন ৩৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয়সহ ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, অর্থ বিভাগ ৮১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয়সহ ২২৬ হাজার ১৭৬ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ দুই হাজার ৮৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তিন হাজার ৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, অর্থনৈতিক সম্পক বিভাগ ৩১০ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ এক হাজার ২৩১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ১৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৩৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ৬৩২ কোটি ২ লাখ টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক হাজার ৬২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩২ হাজার ৫২০ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আইন ও বিচার বিভাগ এক হাজার ৬৫২ কোটি দুই লাখ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা, লেজিসরেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা টাকা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪ হাজার ১৪১ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৩০ হাজার টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক হাজার ৯৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৭৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৬০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

তথ্য মন্ত্রণালয় ৯৮৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ৩৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক হাজার ৪৮৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৪ হাজার ২৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দুই হাজার ৪৪৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় এক হাজার ৫৫৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৫৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৮০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক হাজার ৯৮৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয় ১৪ হাজার ৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৯৩২ কোটি ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ৪৯৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয় এক হাজার ৯৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সাত হাজার ৯৩২ কোটি ৪৫ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৭ হাজার ১৫০ কোটি আট লাখ ৮৭ হাজার টাকা, দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৮৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, সড়ক বিভাগ ২৯ হাজার ২৬৪ কোটি আট লাখ টাকা।

রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ২৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৮৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৪২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৪৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ১৯৪ কোটি ৪৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, সুপ্রীম কোর্ট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ টাকা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় চার হাজার ৪৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দূর্নীতি দমন কমিশন ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং সেতু বিভাগ আট হাজার ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সাত হাজার ৪৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা।