‘খালেদার মুক্তি দাবি করে রাজনীতি কলুষিত করা হচ্ছে’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধিবেশনে বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী/ ছবি: সংগৃহীত

অধিবেশনে বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী/ ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ‘দেশের ৪১ বছরের ইতিহাসে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, অনেক দুর্নীতি হয়েছে কিন্তু এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কেউ দণ্ডিত হয়নি। একমাত্র খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দণ্ডিত হয়েছেন। আজকে তার মুক্তির কথা বার বরা বলা হচ্ছে। তাকে মুক্তির দাবি করে রাজনীতিকে কুলষিত করা হচ্ছে।’

শনিবার (২২ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বাজেট সমালোচনাকারী অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু অর্থনীতিবিদ আছেন যারা বাজেট ঘোষণার দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন। কখন বাজেট দেবেন, কখন তারা সমালোচনা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই অর্থনীতিবিদরা অতিথি পাখির মতো, বাজেট পেশ করার পর পর শুরু করেন বাজেটবিরোধী বক্তব্য। এই লোকগুলো এক এগারর পরে যখন সরকার গঠন করা হয়, তখন তারা বাজেটের প্রশংসা করেছিলেন।’

‘দুর্ভাগ্য তারা নিজেদের আবার সুশিল হিসেবে দাবি করে, প্রজ্ঞাবান দাবি করে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সুশীল মনে করে না। যখন তারা জনগণের কাছে গেছে, জনগণ তাদের বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। সামরিক জান্তার সহায়তা নিয়েও তারা টিকতে পারেনি।’

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের বক্তৃতার জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ কেউ দাবি করছে, তারা প্রকৃত বিরোধীদল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বলতে হয়, জনগণ তাদের বিরোধীদলের আসনে দেয়নি। আজকের বাস্তবতা বিএনপির বিরোধীদলের আসনেও বসার সুযোগ নেই। তারা একটা বিরোধী গ্রুপ হিসেবে কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করছে।’

এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিরোধী গ্রুপ হতে হলে ১০ জন সদস্য থাকতে হয়।’

নিজ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে খালিদ বলেন, ‘নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে বিগত বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৯৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করব, সেটা হবে। অথচ বলা হচ্ছে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নৌপথ ফিরিয়ে আনা হবে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ পথ তৈরি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বন্দরগুলো আধুনিকায়ন হচ্ছে। পায়রা বন্দরে সম্ভাবনার দাঁড় খুলে দিয়েছে। মাতারবাড়ি পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে, ভবিষতে সেখানে সি পোর্ট হবে। ৩২টি নদীবন্দর আধুনিক করা হচ্ছে।’